ব্রেকিং নিউজ
Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | আলীকদম উপজেলা চেয়ারম্যানের ভাইরাল হওয়া ছবি নিয়ে বিবৃতি

আলীকদম উপজেলা চেয়ারম্যানের ভাইরাল হওয়া ছবি নিয়ে বিবৃতি

430

নিউজ ডেক্স : সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেবসুকে ভাইরাল হওয়া ছবি নিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন আলীকদম উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কালাম। ৯ ঘন্টা আগে তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি এ বিবৃতি দেন। তা হুবহু তুলে ধরা হল-

যে ছবিটি নিয়ে আমার বিরোধী পক্ষ একটি সাম্প্রদায়িক এবং রাজনৈতিক ফায়দা লুটার চেষ্টা করছেন। সেই ছবিটি আমার নির্বাচনের একজন একনিষ্ঠ কর্মীর। নির্বাচনের সময় তারা আমার পক্ষ অবলম্বন করার কারনে অনেক হয়রানির শিকারও হয়েছে। তাদের সাথে আমার আত্মার সম্পর্ক। মেয়েটি আমাকে দেখামাত্র আবেগাপ্লুত হয়ে জড়িয়ে ধরে। আমিও সরল বিশ্বাসে তাকে জড়িয়ে ধরে শত মানুষের সামনে ছবি তুলি। এখানে লুকোচুরি, অসৎ উদ্দেশ্য বা নারী পুরুষের সম্পর্ক যারা খুঁজবে, তারা আসলে সাম্প্রদায়িক এবং হিংস্র। নির্বাচনে পরাজিত পক্ষ এবং কিছু উগ্র সাম্প্রদায়িক ব্যক্তি এই সরল, প্রকাশ্য ব্যাপারটাকে আমার বিপক্ষে প্রতিশোধ হিসাবে ব্যবহার করার চেষ্টা করছে। এটা নিয়ে জল ঘোলা করার চেষ্টা করা হচ্ছে তাই ছবিগুলো সরিয়ে নিলাম। এরকম আরো অনেক ছবি শেয়ার দিলাম। পরাজয়ের বেদনা ঢাকতে যারা এসব নিয়ে প্রতিহিংসার রাজনীতিতে নেমেছেন, তাদের জন্য সমবেদনা।

005

ভাইরাল হওয়া ছবি নিয়ে লামার সাংবাদিক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম যা লিখেছেন তাও হুবহু তুলে ধরা হল-

ভালবাসা আর যৌন লালসা কি এক ?
প্রথম ছবিটি দেখে অনেককে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অত্যন্ত ক্ষোভ এবং বিরক্তি প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে। ছবিগুলো দ্রুত ভাইরাল হচ্ছিল। কিছু মানুষ ছবি গুলোকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অপ-প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। যারা এই ছবি গুলো নিয়ে ভুল ব্যাখ্যা দিতেছেন তারা কি পরের ছবি গুলো দেখেননি। নাকি কাউকে হেয় করার পায়তারা ?

প্রথম ছবির মেয়েটি স্থানীয় ম্রো ন্যাশনাল পার্টির কমান্ডার মেনরুং ম্রো এর ছোট বোন বলে জানা গেলো। সে হিসেবে তিনি চেয়ারম্যানকে মালা পরাতে গিয়েছেন। মেয়েটি কমিউনিটি লিডার হিসেবে বরণসভায় চেয়ারম্যানের সাথে অনেকক্ষণ ছিলেন। তার পাশে বসেছিলেন, একসাথে খেয়েছেন আরো অনেকের সাথে। চেয়ারম্যান সে সময় তাকে জড়িয়ে ধরে ছবি তুলেছেন। বিষয়টি প্রকাশ্যে ও সকলের সামনে। মেয়েটি বা উপস্থিত কেউ প্রতিবাদ করেছে এখনো শুনিনি। যদিও কাজটি কোনোভাবেই সমর্থন যোগ্য নয়। তিনি টানা ২০ বছর আলীকদম উপজেলা ও সদর ইউপি চেয়ারম্যান। জনপ্রিয়তা আছে বলেই এবারো দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থি হয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার এই ধারাবাহিক জয়লাভ প্রমাণ করে স্থানীয়ভাবে তিনি অত্যন্ত জনপ্রিয়। সেটা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষের মধ্যেও। তাই তারা ফুল দিয়ে নব নির্বাচিত চেয়ারম্যানকে বরণ করেছেন।

কিন্তু প্রথম ছবিটি যারা ভাইরাল করেছেন তারা এ যুক্তি তুলে ধরেছেন যে, চেয়ারম্যান সাহেব একটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর যুবতী মেয়েকে জড়িয়ে ধরেছেন। যেহেতু তিনি বাঙালি তাই ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর যুবতিদের প্রতি বাঙালীদের লালসা ও যৌন আকঙ্ক্ষার মনোবৃত্তি এই ছবিটিতে প্রকাশ পেয়েছে। এরপর আমি আরো অনেক ছবি পেলাম। দেখলাম(কিছু ছবি এখানে দিলাম)। এ সব ছবিতে দেখা যাচ্ছে, নব নির্বাচিত চেয়ারম্যানকে বিপুল পরিমাণ মানুষ ফুল দিয়ে বরণ করছে। তাদের অনেকেই প্রিয় চেয়ারম্যানকে জড়িয়ে ধরেছেন, চুমু খেয়েছেন, চেয়ারম্যান নিজেও তাদের অনেককে জড়িয়ে ধরে ছবি তুলেছেন। এখানে শুধু ম্রো নয়, অন্য ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মহিলারাও রয়েছে। বাঙালী মহিলারাও রয়েছে। শুধু তরুণী, যুবতি নয়, বয়স্কা, বৃদ্ধারাও রয়েছে, পুরুষ, শিশু. কিশোরও রয়েছে।

তাই এ প্রথম ছবিটিকে আমি আর যাই হোক ‘উপজাতি যুবতির প্রতি বাঙালী পুরুষের লালসার মনোভাব’ হিসেবে দেখতে রাজি নই। ভালবাসা আর যৌন লালসা কি এক ? শতশত লোকের সামনে কোন মানসিক সমস্যাগ্রস্থ ব্যক্তিও যৌনতার বহিপ্রকাশ ঘটাবে না। অন্ধকারে ঢিল ছুটলে মানুষ তা বুঝে। সম্মান দেয়ার মালিক আল্লাহ …

004

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!