নিউজ ডেক্স : পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় আম্পান উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে। আবহাওয়াবিদ এ কে এম রুহুল কুদ্দুছ স্বাক্ষরিত আম্ফান-এর ২৮ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়।
তীব্রতা কিছুটা কমে গিয়ে সুপার সাইক্লোন আম্পান অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। এটি ধীরে ধীরে আরও শক্তি হারিয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে অতিক্রম করবে দেশের উপকূলে। সেই সময় বাতাসের গতিবেগ থাকতে পারে ১৪০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৮৫ কিলোমিটারের মধ্যে বর্তমানে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ২০০ কিমি যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২২০ কিমি পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়টি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে আজ বুধবার (২০ মে) বিকাল/সন্ধ্যার মধ্যে সুন্দরবনের নিকট দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে। এই অবস্থায় মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৭ (সাত) নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৬ (ছয়) নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এ অঞ্চলের উপকূলীয় জেলা নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৬ (ছয়) নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
এটি মঙ্গলবার (১৯ মে ) রাত ৯টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৪০ কিমি দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৯৫ কিমি দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬১৫ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৬১০ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। আজাদী অনলাইন