নিউজ ডেক্স : আওয়ামী নেতারা চরম মিথ্যাচার দিয়ে নিজেদের ষড়যন্ত্র ঢাকতে পারঙ্গম বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। রোববার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, চরম মিথ্যাচার আওয়ামী লীগ ও সরকারে পদোন্নতির একমাত্র মাপকাঠি। আওয়ামী লীগে ব্যক্তির যোগ্যতা ও মেধার ইন্টিগ্রেটির কোনো বালাই নেই।
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির এ নেতা বলেন, একবার তিনি মন্ত্রিত্ব খুইয়ে এবারের মন্ত্রিত্ব পেয়েছেন শুধু অবান্তর, অবিরল ও মিথ্যাচারের প্রতিভা প্রমাণ করে।
তিনি আরও বলেন, বিএসএমএমইউ (পিজি) একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান, সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। ওই এলাকায় তো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ গোয়েন্দাদের সার্বক্ষণিক নজরদারি থাকার কথা। যেখানে সরকারি অনুমোদন ছাড়া কাকপক্ষিও ঢুকতে পারে না; সেই বিএসএমএমইউতে বোমাসদৃশ্য বোতল উদ্ধারের ঘটনায় তথ্যমন্ত্রী এখন বিএনপির যোগসূত্র খুঁজছেন।
‘এ জন্যই বলেছি যে, আওয়ামী নেতারা চরম মিথ্যাচার দিয়ে নিজেদের ষড়যন্ত্র ঢাকতে পারঙ্গম। তথ্যমন্ত্রীর তো ভুলে যাওয়ার কথা নয়, শেরাটনের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ থেকে শুরু করে বিএনপির আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে নিতে সারা দেশে গাড়িতে পেট্রল বোমা হামলা কারা করেছিল, বিহঙ্গ গাড়িতে পেট্রল হামলা কারা করেছিল, যা পরবর্তী সময় আওয়ামী নেতারাই স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। এ স্বীকারোক্তির কথাটি তথ্যমন্ত্রী তার বক্তব্যে উল্লেখ করলেন না কেন?’
রিজভী বলেন, নরসিংদী রোডের বিআরটিসি বাস আজিমপুরে নিয়ে অগ্নিসংযোগ করেছিল কারা? এসব করেছিল যারা, তারা সবাই আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ও রাষ্ট্রযন্ত্র, যা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত। নারায়ণগঞ্জে পেট্রল বোমা হামলায় যুবলীগ নেতারা কীভাবে আটক হয়েছিলেন, রাবিতে ছাত্রলীগ কীভাবে বোমা হামলার স্বীকারোক্তি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল করেছিল।
‘সুতরাং পেট্রল বোমা কালচার আওয়ামী লীগের আবিষ্কৃত, সেটি তথ্যমন্ত্রী এড়িয়ে গেলেও দেশবাসী ঠিকই জানেন,’ যোগ করেন তিনি।
বিএনপির এ নেতা বলেন, বিএসএমএমইউতে পেট্রল বোমাসদৃশ্য বোতলও ক্ষমতাসীন মহলের ষড়যন্ত্রের অংশ এবং এটি কী উদ্দেশ্যে করা হয়েছে, এটিও দেশবাসীর কাছে পরিষ্কার।