নিউজ ডেক্স: বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের প্রধান উপদেষ্টা ও মহানগর জামায়াতের আমির, সাবেক হুইপ শাহজাহান চৌধুরী বলেছেন, শ্রমিক-জনতার এমন অধিকারগুলো নিয়ে বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া উচিত, যে পদক্ষেপ শ্রমিকদের জীবনমান পরিবর্তন করবে। বংশ পরম্পরায় তারা যেন হতদরিদ্র হয়ে না থাকে এবং স্বাবলম্বী হতে পারে, সে বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।
শ্রমিকরা দিন আনে, দিন খায়। সাধারণত তাদের কোনো সঞ্চয় করার সুযোগ হয়ে উঠে না। এ অবস্থায় তারা অসুস্থ হলে উপার্জন করতে না পারার কারণে পুরো পরিবার অভুক্ত থাকে৷ যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারে না। এই পরিস্থিতির অবসান ঘটাতে হবে। শ্রমিকদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজনে শ্রমিকদের জন্য বিশেষায়িত হাসপাতাল করতে হবে।
হালিশহর থানা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি কাযী মাইনুদ্দীনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ ইউসুফের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কর্মিসম্মেলনে প্রধান আলোচক ছিলেন ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সম্পাদক ও চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি এসএম লুৎফর রহমান। বিশেষে অতিথি ছিলেন হালিশহর থানার উপদেষ্টা ফখরে জাহান সিরাজী, ফেডারেশনের মহানগরী সাধারণ সম্পাদক মকবুল আহমদ ভূঁইয়া। দরসে কুরআন পেশ করেন মহানগরীর ট্রেড ইউনিয়ন সম্পাদক মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম।
এসএম লুৎফর রহমান বলেন, বাংলাদেশে একটি ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণ চলছে। ইতিহাসের এই সন্ধিক্ষণে শ্রমিক-জনতাকে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করতে হবে। একটি বৈষম্যহীন সমাজ ও রাষ্ট্র বিনির্মাণে শ্রমিকদের ভূমিকা রাখতে হবে। তাহলেই আগামীর বাংলাদেশ হবে ইনসাফ, সমৃদ্ধি ও শ্রমিকবান্ধব বাংলাদেশ।
বক্তব্য দেন মহানগরীর সহ-সভাপতি আবু তালেব চৌধুরী, সহ-সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শিহাব উল্লাহ, ডবলমুরিং থানা সভাপতি আকরাম হোসেন, ফেডারেশনের হালিশহর থানা সহ-সভাপতি শওকত আকবর, থানা অর্থ সম্পাদক মাওলানা এনায়েত উল্লাহ, অফিস সম্পাদক মাওলানা মীর আহমদ, শ্রমিকনেতা বেলায়েত হোসেন। উপস্থিত ছিলেন শ্রমিকনেতা রেদুয়ানুল শিপলু, মোহাম্মদ নূরুদ্দীন প্রমুখ।