এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়ায় প্রেমিকের লাথিতে প্রেমিকার গর্ভপাত হওয়া সেই নবজাতকের লাশ আদালতের নির্দেশে উত্তোলন করা হয়েছে। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় উপজেলা সদরের রশিদের পাড়াস্থ এক পুকুর পাড় থেকে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) পদ্মাসন সিংহের উপস্থিতিতে এ লাশ উত্তোলন করা হয়। এ ঘটনায় বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ভিকটিম বাদী হয়ে লোহাগাড়া থানায় মামলা রুজু করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৯ মাস পূর্বে লোহাগাড়া উপজেলা সদরের রশিদার পাড়ার আবুল হোছেনের পুত্র মিজানুর রহমান (২৬) এর সাথে একই ইউনিয়নের সাতগড়িয়া পাড়ার ভিকটিমের (প্রেমিকা) প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এক পর্যায়ে প্রেমিকাকে বিয়ে প্রলোভন দিয়ে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এতে প্রেমিকা অন্তঃসত্তা হয়ে পড়ে। প্রেমিককে বিষয়টি জানালে ঔষধ খেয়ে বাচ্চা নষ্ট করে ফেলতে বলে। অভিযুক্ত প্রেমিক মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে প্রেমিকার বাড়িতে দেখা করতে আসেন। এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রেমিকার পেটে লাথি মারলে মৃত বাচ্চা প্রসব হয়। অভিযুক্ত প্রেমিক বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য বলে ও মৃত বাচ্চাটি রাতেই গোপনে দাফন করে ফেলে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা লোহাগাড়া থানার এসআই গোলাম কিবরিয়া জানান, প্রাথমিকভাবে দেখা গেছে লাশের পেট ও গলায় কাটা চিহ্ন রয়েছে। নবজাতকের লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পদ্মাসন সিংহ জানান, আদালতের নির্দেশে ‘ডিএনএ’ পরীক্ষা ও ময়নাতদন্তের জন্য নবজাতকের মৃতদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।
লোহাগাড়া সামাজিক ব্যাধি প্রতিরোধ ফোরামের চেয়ারম্যান ও ড. নদভী এমপির সহধর্মীনি রিজিয়া রেজা চৌধুরী এ ঘটনাটি তদারকী পূর্বক নবজাতকের লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করায় এলাকাবাসী তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ।
এদিকে, ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত মিজানুর রহমান গা ঢাকা দিয়েছে। তাই এ ব্যাপারে তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। এলাকাবাসী সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক দায়ী ব্যক্তির দৃষ্টান্তমূলক শান্তি দাবী করেছেন।