এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়ার চুনতিতে সামাজিক বনায়নের জায়গা থেকে গাছ কেটে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইউনিয়নের ফারেঙ্গা এলাকা থেকে এসব গাছ কাটা হচ্ছে।
জানা যায়, চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের পদুয়া রেঞ্জের ডলু বনবিটের ফারেঙ্গা মৌজায় ২০১৭–১৮ সালে সৃজিত স্বল্প মেয়াদী ১০ হেক্টর জায়গায় বিভিন্ন প্রজাতির ২৫ হাজার চারা রোপণ করা হয়। এতে ২৫ জন উপকারভোগী রয়েছে। বর্তমানে গাছগুলো অনেক মূল্যবান ও বড় হওয়াতে এলাকার প্রভাবশালী অনেক কাঠ ব্যবসায়ীদের লোলুপদৃষ্টি পড়ে। সামাজিক বনায়ন থেকে প্রভাবশালীরা প্রায় ১০ হাজার গাছ কেটে নিয়ে গেছে।
এদিকে, গত বুধবার (৩১ মে) গাছ কাটা বন্ধে সামাজিক বনায়নের ক্ষতিগ্রস্ত উপকারভোগীরা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা চট্টগ্রাম (দক্ষিণ) বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন। এতে বলা হয়েছে, প্রায় ১৫ দিন যাবত বিট কর্মকর্তার সাথে যোগসাজসে একদল দুর্বৃত্ত প্রায় ২৫ জন শ্রমিক দিয়ে সামাজিক বনায়নের গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় বিট অফিসে অভিযোগ করলে তারা গাছ কাটা বন্ধের পদক্ষেপ না নিয়ে গাছ খেকোদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে বলে জানায়।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, টিলায় করা হয়েছে সামাজিক বনায়ন। ইতোমধ্যে টিলার গাছ কেটে উজাড় করা হয়েছে। কর্তনকৃত গাছের গোড়া এখনো দৃশ্যমান। কাঠ ব্যবসায়ী বজলুর রহমান গাছ কাটার বিষয়টি স্বীকার করে জানান, গাছগুলো ক্রয় পূর্বক কর্তন করেছেন। বনবিভাগের লোকজন নিষেধ করায় গাছ কাটা ও পরিবহন করা বন্ধ রেখেছেন। তবে গাছগুলো জনৈক ছালেহ আহমদের জমির মাথাখিলা বনবিভাগের জায়গায় রোপণকৃত বলে জানান তিনি।
উপকারভোগী স্থানীয় ইউপি সদস্য জানে আলম জানান, স্থানীয় বনবিভাগের লোকজনের সহযোগিতায় একটি প্রভাবশালী মহল নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে কেটে নিয়ে যাচ্ছে সামাজিক বনায়নের গাছ। তাদের ভয়ে উপকারভোগীরা কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন উপকারভোগীরা।
এ ব্যাপারে জানতে ডলু বনবিট কর্মকর্তা আশরাফকে মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করেও সাড়া পাওয়া যায়নি। তাই তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে, পদুয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মনজুর মোরশেদ মুঠোফোনে জানান, সামাজিক বনায়নের কোন গাছ কাটা হয়নি। এ ব্যাপারে কথা বলতে অফিসে যেতে বলেন তিনি।