ব্রেকিং নিউজ
Home | ব্রেকিং নিউজ | লোহাগাড়ায় বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর নির্মাণে পুরাতন রড ব্যবহারের অভিযোগ

লোহাগাড়ায় বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর নির্মাণে পুরাতন রড ব্যবহারের অভিযোগ

এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়ার পদুয়া মোহাম্মদপুর ইউনুছ সওদাগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর নির্মাণে পুরাতন রড ব্যবহারসহ নিম্নমানের কাজের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন স্থানীয়রা।

জানা যায়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে পদুয়া মোহাম্মদপুর ইউনুছ সওদাগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১১০ মিটার সীমানা প্রাচীর ও প্রধান ফটক নির্মাণের জন্য ১১ লাখ ৫০ হাজার ৮৯৪ টাকা ৬৫ পয়সা বরাদ্দ দেয়া হয়। এরমধ্যে সীমানা প্রাচীরের ব্যয় ৮ লাখ ৭৭ হাজার ৩৯৪ টাকা ৬৫ পয়সা ও প্রধান ফটকের ব্যয় ২ লাখ ৭৩ হাজার ৫০০ টাকা ধরা হয়েছে। প্রায় এক সপ্তাহ পূর্বে ঠিকাদার বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজ শুরু করেন।

বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা যায়, ইতোমধ্যে সীমানা প্রাচীরের গ্রেড বীমের কাজ শেষ হয়েছে। সীমানা প্রাচীরে নতুন ও জং ধরা পুরাতন রডের ব্যবহার দৃশ্যমান। অনেক রড জং ধরে ক্ষয় হয়ে গেছে। গ্রেড বীমের ভেতরও জং ধরা পুরাতন রডসহ নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। এ রকম নি¤œমানের কাজ করলে বছর না যেতেই সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে যাবে বলে দাবী করেন তারা।

পদুয়া মোহাম্মদপুর ইউনুছ সওদাগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক রতœা রাণী আচার্য্য জানান, বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর নির্মাণে পুরাতন রড ও নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করছে ঠিকাদার। বিষয়টি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে অবহিত করেছি।

উক্ত বিদ্যালয়ের দায়িত্বে থাকা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা এ.এস.এম মনিরুদ্দিন জানান, সীমানা প্রাচীর নির্মাণে পুরাতন রড ব্যবহারসহ নিম্নমানের কাজ করার অভিযোগ পেয়েছি। ঠিকাদারকে কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।

ঠিকাদার দিপু কান্তি পাল জানান, নির্মাণ সামগ্রীর দাম সিডিউলে দেয়া দামের চেয়ে অনেক বেড়ে গেছে। তাই কাজ করতে বেগ পেতে হচ্ছে। প্রথমে কয়েকটি পুরাতন রড ব্যবহার করলেও নিষেধ করার পর আর ব্যবহার করা হয়নি। নিম্নমানের কাজের অভিযোগ ভিত্তিহীন। তবে, এখনো জং ধরা পুরাতন রড দেখা যাচ্ছে কেন জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।

লোহাগাড়া উপজেলা প্রকৌশলী ইফরাদ বিন মুনীর জানান, কাজের শুরুতে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় ঠিকাদারকে সতর্ক করে দেয়া হয়েছিল। পুণরায় নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করলে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!