এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়ায় জালালী মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ লিঃ’র চেয়ারম্যান আব্বাস উদ্দিন গ্রাহকের এক কোটি টাকা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে উধাও হয়ে গেছে। কো-অপারেটিভের ১৩ গ্রাহক আব্বাস উদ্দিনসহ অপর ৩ জনের বিরুদ্ধে আজ ২ সেপ্টেম্বর লোহাগাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। অপরাপর অভিযুক্তরা হলেন চেয়ারম্যানের স্ত্রী রোজিনা আক্তার রোজি, অপর দু’জন তারই আত্মীয় উত্তর কলাউজানের মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ও মোঃ আরফাত প্রমুখ।
অভিযোগকারীরা হলেন সাতকানিয়ার চিববাড়ি এলাকার মোঃ মঞ্জুরুল হক, লোহাগাড়া সদরের বিল্লাপাড়ার শাকিলা বেগম, পদুয়ার মঞ্জুরা বেগম, লোহাগাড়া বটতলী হাজী বদিউর মার্কেটের ব্যবসায়ী মোঃ ইদ্রিছ, মোঃ জাহাঙ্গীর, সাতকানিয়ার গারাঙ্গিয়া গ্রামের নয়ন সিকদার পাড়ার আবদুর রহিম, পদুয়া বেপারী পাড়ার হাজেরা বেগম, শাহিন আক্তার, সাতকানিয়া ছদাহা এলাকার ফাতেমা বেগম, লোহাগাড়া ৭নং ওয়ার্ডের শাকেরা বেগম, লোহাগাড়া ইউনিয়নের বিল্লা পাড়ার আমেনা বেগম, আবু আহমদ, মল্লিক ছোবহান আলী সিকদার পাড়ার নুরুল আবছার প্রমুখ।
লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, অভিযোগের তদন্ত হচ্ছে। পরে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অভিযোগে প্রকাশ, অভিযোগকারীরাসহ বিভিন্ন গ্রাহকের কাছে আব্বাস উদ্দিন লাভের প্রলোভন দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা আদায় করেন। তবে গত কয়েক মাস আগে তিনি বিনিয়োগকারীদেরকে নানাভাবে প্রতারণা করেন এবং টাকা ফেরত চাইলে প্রাণনাশের হুমকী দেন। পরে এক পর্যায়ে অফিসে তালা লাগিয়ে লাপাত্তা হয়ে যান। আব্বাস উদ্দিন লোহাগাড়া সরকার পাড়ার ডাঃ মোস্তাক আহমদের পুত্র। এ ব্যাপারে তার বক্তব্য নেয়ার জন্য বহু চেষ্টা করা হয়েছে।
ভূক্তভোগীরা মনে করছেন, জালালী মাল্টিপারপাস’র চেয়ারম্যান আব্বাস উদ্দিন সম্ভবতঃ দেশের বাইরে চলে গেছেন। তবে আত্মসাতের পরিমাণ কোটি টাকারও উর্ধ্বে হবে বলে ধারণা করছেন। তারা এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
উল্লেখ্য, লোহাগাড়ায় অনুরূপভাবে আরো কয়েকটি মাল্টিপারপাস সোসাইটি কোটি কোটি টাকা আত্মসাত করেছেন। এ নিয়ে বহু লেখালেখি হয়েছে। বর্তমানে আরো আত্মসাতের প্রকাশ করে অর্থলগ্নী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে এমন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিবিড় তদন্ত পরিচালনা করা প্রয়োজন বলে সচেতন মহল সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।