ব্রেকিং নিউজ
Home | লোহাগাড়ার সংবাদ | লোহাগাড়ায় ঘূর্ণিঝড় মোরা’র আঘাতে অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ

লোহাগাড়ায় ঘূর্ণিঝড় মোরা’র আঘাতে অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ

235

এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়ায় গত ৩০ মে মঙ্গলবার ঘূর্ণিঝড় মোরা’র আঘাতে ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিস ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের ৮৭টি এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে সম্পূর্ণ রূপে বিধ্বস্থ বাড়ির সংখ্যা পাওয়া যায়নি। আংশিকরূপে বিধ্বস্থ বাড়ির সংখ্যা ৫০৫, আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ লোক সংখ্যা ৪০ হাজার, আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সংখ্যা ৮ হাজার ৭৫০ জন। ৩০ একর ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য ৮ লাখ টাকা। আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্কুল ১০টি, মাদ্রাসা ৫টি, মসজিদ ৬টি ও মন্দির ২টি। ধ্বংসপ্রাপ্ত সড়ক কাঁচা ২০ কিলোমিটার। আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ সড়ক কাঁচা ৫০ কিলোমিটার। ধ্বংসপ্রাপ্ত বাঁধ ২০ কিলোমিটার। আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ বাঁধ ৩০ কিলোমিটার। আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ ব্রীজ ১৬টি। ক্ষতিগ্রস্থ বিদ্যুৎ খুটি ১০০টি। ১০ হাজার গাছপালা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। যার মূল্য সাড়ে ১৪ লাখ টাকা বলে জানা গেছে। তবে উপজেলার কোথাও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি- ১ লোহাগাড়া জোনাল অফিস সূত্রে জানা গেছে, শতাধিক বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙ্গে গেছে। গাছপালা পড়ে বিভিন্নস্থানে বিদ্যুৎ লাইনের তার ছিড়ে গেছে। এছাড়াও ৩৩ হাজার ভোল্ড লাইনেও গাছ ভেঙ্গে পড়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘœ ঘটে।

গত মঙ্গলবার ঘূর্ণিঝড়ের দিন ভোর ৪টা থেকে গতকাল ৩১ মে বুধবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত লোহাগাড়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ ছিল। এরপর লোহাগাড়া উপজেলা সদর, আধুনগর ও পদুয়া তেওয়ারীহাটে আংশিক বিদ্যুৎ সরবরাহ দেয়া হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উপজেলার অন্যান্য এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়নি বলে জানা গেছে।

উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রামপুর ডিসি রোড, উজিরভিটা রোড, দরবেশহাট ডিসি রোড, চুনতি ফারেঙ্গা সড়ক ও উপজেলা কমপ্লেক্সে ব্যাপক গাছপালা ভেঙ্গে গেছে। এছাড়াও কাঁচা রাস্তার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলেও জানান।

চরম্বার রাজঘাটা এলাকায় মনির আহমদের বসতঘরসহ ৫টি বসতঘর, পুটিবিলার সরইয়া গ্রামের বদিউল আলম, ইলিয়াছ মিয়া ও সেলিম উদ্দিনসহ কয়েকজনের বসতঘর, আধুনগরে সদুদত্ত বড়–য়াসহ এলাকার বেশ কয়েকটি বসতঘর ও লোহাগাড়া উপজেলা সদরের দয়ার পাড়ায় নাজিমের টিনসেডের তৈরী ছামিহা কলোনী ভেঙ্গে গেছে বলে স্ব স্ব ইউপি চেয়ারম্যান সূত্রে জানা গেছে। এছাড়াও উপজেলার বড়হাতিয়া, চুনতি, আমিরাবাদ, পদুয়া ও কলাউজানে বেশ কয়েকটি বসতঘর ভেঙ্গে গেছে বলে ইউপি চেয়ারম্যানরা জানিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!