ব্রেকিং নিউজ
Home | ব্রেকিং নিউজ | লোহাগাড়ায় ইটভাটার ধোঁয়ায় জমির ফসলসহ গাছপালার ব্যাপক ক্ষতি

লোহাগাড়ায় ইটভাটার ধোঁয়ায় জমির ফসলসহ গাছপালার ব্যাপক ক্ষতি

(ফাইল ছবি)

(ফাইল ছবি)

এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়ায় ইটভাটার ধোয়ায় জমির ফসলসহ গাছপালার ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। হচ্ছে। জানা যায়, উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে অপরিকল্পিতভাবে ইটভাটা স্থাপিত হচ্ছে। যার ফলে জমির বোরো ধানসহ বিভিন্ন ফসল, বসত-বাড়ির গাছপালা ও মৌসুমী ফলের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হচ্ছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক কোটি টাকা। ইটভাটার মালিকরা প্রভাবশালী হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্তরা মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক আবুল হোসেন, দলিলুর রহমান, মোঃ নূরুন্নবী, খুলু মিয়া, সাহাব উদ্দিন, রফিকুল ইসলাম, ওসমান গণি, সোনা মিয়া, ওয়াহেদ আলী, আবদুল আলম, আবদুল মান্নান, রহমত আলী, দুদু মিয়াসহ ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও বাড়ির মালিকগণ জানান, ভাটায় ইট পোড়ানো ধোঁয়ায় তাদের ফসলের মারাত্মক ক্ষতি সাধিত হচ্ছে।

এছাড়াও ইট ভাটার বিষাক্ত ধোঁয়ায় ভাটা সংলগ্ন হাজার হাজার মানুষ স্বাস্থ্য ঝুকিতে রয়েছে। বিশেষ করে শিশুরাই মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছে। রাজনৈতিক ছাত্রছায়ায় প্রভাবশালীরা কোন নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে এসব ইটভাটা গড়ে তুলছে। লোহাগাড়ায় মোট ৪৯টি ইটাভাটা রয়েছে। এর মধ্যে একটি ইটভাটায়ও লাইসেন্স নেই বলে জানা গেছে। শুধুমাত্র চরম্বা ইউনিয়নের ২০ হাজার লোকের বসবাস। ওই ইউনিয়নের ইটভাটা রয়েছে ২০টি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামীম হোসেন সাংবাদিকদের জানান, সভ্যতার ক্রমঃবিকাশে দিন দিন ফসলী জমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে। যত্রতত্র ইটভাটা স্থাপন, অপরিকল্পিত নগরায়ন, দালান-কোটা নির্মাণ লাগামহীনভাবে বেড়ে গিয়েছে, বেড়ে যাচ্ছে। তিনি বার বার উপজেলা সমন্বয় কমিটির সভায় এ প্রবণতা বন্ধ করার প্রস্তাব করেছেন। ইটভাটার মালিকরা রাজনৈতিক পৃষ্টপোষকতায় তা গ্রাহ্য করছেন না। তবে দু’বছর যাবৎ ধানী জমিতে কোন ইটভাটা নির্মাণের ছাড়পত্র তিনি দেননি। তিনি আরো জানান, ইটভাটার কালো ধোঁয়া ও ফসলী জমির টপসয়েল কেটে নেয়ায় কৃষকরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

জানা যায়, নিয়ম অনুযায়ী ইটভাটা স্থাপনের জন্য পরিবেশ অধিদফতর থেকে অনুমোদন নিতে হয়। প্রশ্ন হলো, আবাসিক ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় কিভাবে পরিবেশ অধিদফতরের অনুমোদন না নিয়ে ইট ভাটা স্থাপন করা হয়েছে? এ নিয়ে এলাকার সচেতন মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে কৃষি মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদফতরসহ সংশ্লিষ্ট দফতরের ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষকে সরেজমিন তদন্ত সাপেক্ষে জরুরি ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!