ব্রেকিং নিউজ
Home | ব্রেকিং নিউজ | লোহাগাড়ায় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে বিএনপির সমাবেশ

লোহাগাড়ায় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে বিএনপির সমাবেশ

এলনিউজ২৪ডটকম: লোহাগাড়ায় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা এবং বিএনপি ঘোষিত রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফার পক্ষে জনমত গঠনের লক্ষ্যে এক কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের সুফিয়া আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে ১, ২ ও ৩ নাম্বার ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন লোহাগাড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আসহাব উদ্দিন চৌধুরী। আমিরাবাদ ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক শাহাবুদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন উপজেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব সাজ্জাদুর রহমান।

সাবেক ছাত্রনেতা মো. সেলিম উদ্দিনের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক ছাত্রনেতা মো. সেলিম উদ্দিনের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এডভোকেট আবু তাহের, উপজেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক নুরুল আবছার, উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবদল নেতা নাজিম উদ্দিন, লোহাগাড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক সরওয়ার আক্তার, আধুনগর ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক ইমাম্লু আবেদিন চৌধুরী রিপন,পুটিবিলা ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক নুরুল আলম জিকু, কলাউজান ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক খোরশেদ আলম সিকদার, লোহাগাড়া সদর ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব শহীদুল আলম, আমিরাবাদ ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব আলা উদ্দিন বাচ্চু, চরম্বা ইউনিয়ন বিএনপি সদস্য সচিব সৈয়দ হোসেন মেম্বার,পদুয়া ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব মোবারক হোসেন বাবু, চুনতি ইউনিয়ন বিএনপি সদস্য সচিব হাফেজ আহমদ ডিয়ার, পুটিবিলা ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী, কলাউজান ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব রফিক উদ্দিন প্রমুখ।

প্রধান অতিথি আসহাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ১৯৭৫ সালের এই দিনে সিপাহি-জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লবে দেশের তৎকালীন রাজনীতির গতিধারা পাল্টে গিয়েছিল। দেশ ও জাতি পেয়েছিল নতুন দিশা।আজকের এই দিনে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দেশপ্রেমিক সৈনিক ও জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে ঢাকার রাজপথে নেমে আসে। এ বিস্ফোরণের মধ্য দিয়ে ক্যান্টনমেন্ট থেকে জিয়াউর রহমানকে মুক্ত করা হয়। পাল্টে যায় দেশের পটভূমি এবং এ পরিবর্তনে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব প্রভাবমুক্ত হয়ে শক্তিশালী এক জাতীসত্তা লাভ করে বাংলাদেশ। এ ছাড়া এদিন থেকে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথে যাত্রা শুরু করে।

তিনি আরো বলেন, ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের গণতন্ত্র, অর্থনীতি, মানবাধিকার ও বাক-স্বাধীনতাসহ মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ করেছিল। যারা ন্যায্য অধিকার চেয়েছিল তাদের উপরই হামলা-মামলা দেয়া হয়েছে।কোন নেতাকর্মী,সাধারণ মানুষকে শান্তিতে থাকতে দেয়নি। এমনকি গুম খুনও করা হয়েছে। দেশের সব ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন হয়েছে। দেশ নতুন করে স্বাধীনতার স্বাদ পেয়েছে।গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অবিলম্বে নির্বাচন দিয়ে স্বনির্ভর বাংলাদেশ করার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং আগামী নির্বাচনে তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!