এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়ার পুটিবিলায় ডলুখাল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। যার ফলে হুমকিতে রয়েছে এমচরহাট বাজার ও পুটিবিলা-পানত্রিশা সড়কের ব্রিজ। ঘটনাস্থলে বালু উত্তোলনের ছবি তুললে ক্ষিপ্ত হয়ে তেড়ে আসে সেখানে কর্মরত শ্রমিকরা।
জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত একটি মহল ওই স্থান থেকে এমচর হাট বাজারে দক্ষিণে ব্রিজ সন্নিহিত এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে। জনৈক মামুন মৌলভী নামে এক ব্যক্তি অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। অব্যাহত বালু উত্তোলনের ফলে যে কোন সময় ধসে পড়তে পারে ব্রিজটি। এছাড়া হুমকির মধ্যে রয়েছে এমচর হাট বাজার, এমচর হাট জামে মসজিদ, চলাচলের রাস্তা ও বসতঘর। বালু উত্তোলনকারীরা প্রভাশালী হওয়ায় কেউ তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে সাহস পান না। এছাড়া বালুবাহী ডাম্পট্রাক চলাচলের কারণে নষ্ট হচ্ছে গ্রামীণ সড়ক। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে সরকার হারাচ্ছে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব। ডলুখাল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ কামনা করেছেন স্থানীয়রা।

বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, পুটিবিলা-পানত্রিশা সড়কের এমচর হাট বাজারের দক্ষিণে স্ট্রিলের ব্রিজ হতে আনুমানিক দেড়শত ফুট দূরত্ব থেকে অবৈধভাবে তোলা হচ্ছে বালু। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে বিকেল থেকে সারারাত স্যালু মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করা হয়। ইতোমধ্যে অবৈধভাবে উত্তোলিত বালুর বিশাল স্তুপ করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে গেলে তখন কয়েকজন শ্রমিক বালু উত্তোলনের জন্য স্যালু মেশিনের সাথে পাইপ ফিটিংয়ের কাজ করছিল। এ সময় বালুর স্তুপের ছবি তুললে ক্ষিপ্ত হয়ে তেড়ে আসে জনৈক রিয়াদসহ কয়েকজন শ্রমিক। তারা ছবি তুলতে নিষেধ করে।
অভিযুক্ত মামুন মৌলভী ডলুখাল থেকে বালু উত্তোলনের বিষয়টি স্বীকার করে জানান, বালু উত্তোলন করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ থেকে কোন অনুমোদন নেয়া হয়নি। অনুমোদন না নিয়ে কিভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে জানতে চাইলে কোন সদোত্তর দিতে পারেননি তিনি।
লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শরীফ উল্যাহ জানান, অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কোন সুযোগ নেই। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।