ব্রেকিং নিউজ
Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রাম অঞ্চলে এইচআইভি আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে

ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রাম অঞ্চলে এইচআইভি আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে

redmd20161207225806

নিউজ ডেক্স : সরকারি হিসেবে দেশে এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ৪ হাজার ৭২১ জন। এদের মধ্যে ৭৯৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রাম অঞ্চলে মাদক গ্রহণকারীদের মধ্যে এইচআইভি আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে।

বুধবার সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে চাপাইনবাবগঞ্জের সংসদ সদস্য গোলাম রাব্বানীর এক প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এ তথ্য জানান।

সংসদ সদস্য এস এম মোস্তফা রশিদীর অপর এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে উৎপাদিত ওষুধ আন্তর্জাতিক মানের হওয়া তা ১২৫টি দেশে রফতানি হচ্ছে। তবে কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী বেশি মুনাফার জন্য নিম্নমানের ও ভেজাল ওষুধ বাজারজাত করে। এদের বিরুদ্ধে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে আসছে।’

ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ উৎপাদনের দায়ে ৮৬টি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স সাময়িক ও ১৫টি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

বেসরকারি প্যাথলজি ফি নির্ধারণ পরিকল্পনা : চট্টগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের এক প্রশ্নে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বেসরকারি পর্যায়ে চিকিৎসাসেবা সংক্রান্ত অধ্যাদেশ ১৯৮৪ দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। এ অধ্যাদেশটি বাতিল করে একটি হালনাগাদ আইন প্রণয়নের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আইনের অধিনে প্রণীত বিধি দ্বারা দেশে ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর সকল প্রকার প্যাথলজি টেস্টেও ফি নির্ধারণের পরিকল্পনা করছে সরকার।

দেশে ১৬ শতাংশ মানুষ মানসিক রোগে আক্রান্ত : সংরক্ষিত সংসদ সদস্য দিলারা বেগমের এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী জানান, পারিবারিক ও সামাজিকসহ নানা কারণে অনেকেই মানসিক রোগে আক্রান্ত হন। দেশে ১৬ শতাংশ মানুষ মানসিক রোগে আক্রান্ত। তাদের চিকিৎসায় সরকার অত্যন্ত আন্তরিক।

১ হাজার ৫৮৪টি বিশেষজ্ঞ পদ শূন্য : চট্টগ্রামের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের এক প্রশ্নে মন্ত্রী জানান, সারাদেশে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের মোট পদ ৩ হাজার ৫০৮, পূরণকৃত পদ ১ হাজার ৯৪২ এবং শূন্যপদ ১ হাজার ৫৮৪টি।

আবদুল লতিফের অপর এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রজেকশন অনুযায়ী ২০১৫ সালে বাংলাদেশে মাতৃমৃত্যু হার ছিল প্রতি লাখে জীবিত জন্মে ১৭৬ জন। ১৯৯০ সালে এ মৃত্যুর হার ছিল ৫৬৯ জন। বর্তমানে ভারতে এক লাখ শিশুর জন্ম দিতে গিয়ে ১৭৪, পাকিস্তানে ১৭৮, নেপালে ২৫৮, আফগানিস্তানে ৩৯৬ এবং শ্রীলংকায় ৯৮ জন মায়ের মৃত্যু ঘটে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!