ব্রেকিং নিউজ
Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | লোহাগাড়াসহ চট্টগ্রামের ১৬ আসনে নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন ঠেকাতে ২৭ ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে

লোহাগাড়াসহ চট্টগ্রামের ১৬ আসনে নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন ঠেকাতে ২৭ ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে

dc-bg20181114114135

নিউজ ডেক্স : নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন ঠেকাতে চট্টগ্রামে মাঠে নামছেন ২৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। বুধবার (১৪ নভেম্বর) থেকে তারা মাঠে তৎপর থাকবেন বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং অফিসার চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন।

তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রামের ১৬টি আসনে এই ২৭ জন ম্যাজিস্ট্রেট আচরণবিধি লঙ্ঘন ঠেকাতে কাজ করবেন। এদের মধ্যে ১৩ জন চট্টগ্রাম নগরীতে দায়িত্ব পালন করবেন। অন্যরা নগরীর বাইরে উপজেলা পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করবেন।’

এর আগে গত ১২ নভেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ৩০০ আসনে নির্বাচনি আচরণবিধি প্রতিপালন করার জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়ার নির্দেশনা দেয় নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশন থেকে এ নির্দেশনা আসার পর ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের বিষয়টি চূড়ান্ত করে জেলা প্রশাসন।

উপজেলা পর্যায়ে যেসব ম্যজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন তারা হলেন- রাউজানে জোনায়েদ কবীর সোহাগ, মীরসরাইয়ে মো. কায়সার খসরু, পটিয়ায় সাব্বির রাহমান সানি, ফটিকছড়িতে মো. জানে আলম, আনোয়ারায় সাইদুজ্জামান চৌধুরী, বোয়ালখালীতে একরামুল ছিদ্দিক, রাগুনিয়ায় পূর্বিতা চাকমা, চন্দনাইশে নিজাম উদ্দিন আহমেদ, লোহাগাড়ায় পদ্মাসন সিংহ, হাটহাজারীতে সম্রাট খীসা, বাঁশখালীতে সুজন চন্দ্র রায়, সাতকানিয়ায় রঞ্জন চন্দ্র দে, কর্ণফুলীতে আশরাফুল আলম এবং সন্দ্বীপে জিল্লুর রহমান।

এর বাইরে নগরীতে দায়িত্ব পালন করবেন ফারহানা জাহান উপমা, ফোরকান এলাহি অনুপম, তাহমিলুর রহমান, সাবরিনা আফরিন মুস্তফা, এস এম শান্তুনু চৌধুরী, শারমিন আখতার, মাহফুজা জেরিন, রমিজ আলম, মারুফা বেগম নেলী, শান্তা রহমান, উজালা রানী চাকমা, তাহমিনা আক্তার এবং মাসুদ রানা।

মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন বলেন, ‘গত ১২ নভেম্বর নির্বাচন কমিশন থেকে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের জন্য নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। ওই নির্দেশনার আলোকে ২৭ জন ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন ঠেকাতে আজ থেকে তারা মাঠে কাজ করবেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনি প্রচারণমূলক সামগ্রী অপসারণে আর্থিক বাজেটের প্রয়োজন আছে। আমরা ওই খাতে কোনও বরাদ্দ পাইনি। তাই সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজ উদ্যোগে তাদের প্রচারণা সামগ্রী সরিয়ে নিতে হবে। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ইলিয়াস হোসেন বলেন, ‘এখনও প্রার্থী চূড়ান্ত হয়নি। চূড়ান্ত হওয়ার পর কোনও প্রার্থী নির্বাচনি আচরণ বিধিমালা লঙ্ঘন করলে তার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

জেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, কোনও প্রার্থী নির্বাচনি আচরণ বিধিমালা লঙ্ঘন করলে তাকে সর্বোচ্চ ৬ মাসের সাজা ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে। রাজনৈতিক দল লঙ্ঘন করলে তাদেরও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান আছে।’

সূত্র : বাংলা ট্রিবিউন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!