ব্রেকিং নিউজ
Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | চকরিয়ায় ছিনতাইকৃত টাকার আংশিক উদ্ধার :গ্রেপ্তার ১

চকরিয়ায় ছিনতাইকৃত টাকার আংশিক উদ্ধার :গ্রেপ্তার ১

190

নিউজ ডেক্স : চট্টগ্রাম নগরের আছদগঞ্জ এলাকার ব্যবসায়ী আবু মুছার কাছ থেকে কমান্ডো স্টাইলে ছিনিয়ে নেওয়া সাড়ে সাত লাখ টাকার মধ্যে এক লাখ ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার হয়েছে। তবে চাপের মুখে পড়ে ওই টাকা ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীর কাছে ফেরত দিতে বাধ্য হয় ছিনতাইয়ে জড়িত মোহাম্মদ ছোটন নামে একজন। অবশ্য এ ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে মো. শাহাদাত ইসলাম ওরফে ডাকাত সাবেকু (৩৩) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ এবং আরো কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেছেন চকরিয়া থানায়।

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী আবু মুছা কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘শুক্রবার রাতে আমার কাছ থেকে নগদ সাড়ে সাত লাখ টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার পর বিভিন্ন মাধ্যমে নিশ্চিত হই ঘটনায় কারা জড়িত। এর মধ্যে মো. ছোটন নামের একজন ছিনতাইকারী চাপের মুখে পড়ে ভাগে পাওয়া এক লাখ ৫০ হাজার টাকা একজনের মাধ্যমে আমার কাছে ফেরত দেয়। অবশ্য এ ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে পুলিশ ডাকাত সাবেকুকে গ্রেপ্তার করে।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামী লীগের স্থানীয় একাধিক নেতা বলেন, যারা সরাসরি ছিনতাইয়ে জড়িত রয়েছে বলে নাম এসেছে মূলত তারা ব্যবহার হয়েছে। নেপথ্যে থেকে একটি প্রভাবশালী চক্র তাদেরকে দিয়ে এই ঘটনা সংঘটিত করেছে। নেপথ্য নায়কদের মধ্যে ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলাম লিটন ও দারুচ্ছালাম রফিকের নাম আলোচনায় আছে।

তবে যুবলীগ সভাপতি জাহেদুল ইসলাম লিটনের বক্তব্য নেওয়ার জন্য তাঁর ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও সংযোগ পাওয়া যায়নি। অপরজন দারুচ্ছালাম রফিকের মুঠোফোনে সংযোগ স্থাপিত হলেও সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর পরে কথা বলব বলে লাইন কেটে দেন। পরে অসংখ্যবার কল করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

পুলিশ জানায়, ছিনতাই ঘটনায় গ্রেপ্তার শাহাদাত ইসলাম ওরফে সাবেকু পেশায় একজন দুর্ধর্ষ ডাকাত। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, ডাকাতি, পুলিশ আক্রান্ত বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে অসংখ্য মামলা রয়েছে।

চকরিয়া থানার ওসি মো. বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান, ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীর কাছে একজন কিছু টাকা ফেরত দিয়েছে বলে শুনেছি। টাকা ফেরত দিলেও এ ঘটনায় যারা জড়িত রয়েছে তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। তাই ব্যবসায়ী আবু মুছা বাদী হয়ে থানায় এজাহার দিলে তা মামলা হিসেবে নেওয়া হয়। ইতোমধ্যে মামলার এজাহারনামীয় আসামি শাহাদাত ইসলাম ওরফে ডাকাত সাবেকুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার অন্য আসামি এবং লুটকৃত বাকি টাকা উদ্ধারে পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার দিনভর আমদানির টাকা তুলে রাতে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে যাত্রাকালে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের হারবাং স্টেশনের অদূরে সাইফা কমিউনিটি সেন্টারের কাছে দুটি মোটরসাইকেলযোগে এসে ৬ সশস্ত্র যুবক যাত্রীবাহী মাইক্রোবাসের গতিরোধ করে প্রথমে। এর পর ভেতরে থাকা ওই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকাভর্তি ব্যাগটি ছিনিয়ে নেয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!