নিউজ ডেক্স : নগরীর পাহাড়তলী থানার উত্তর কাট্টলী টোল রোড এলাকার পূর্বদিকে স্থানীয় সেকান্দারের কৃষিজমিতে একজনের মরদেহ দেখে থানায় খবর দিলে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে বায়োমেট্রিক্সের মাধ্যমে মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করা হয়। মরদেহটি নোয়াখালীর চাটখিল থানার ভিমপুর আমজাদ বেপারী বাড়ির আব্দুল হক স্বপনের ছেলে মো. সজীবের (২৭)।
মো.সজীবের নামে সিমের রেজিস্ট্রেশনের সূত্রে ধরে এগোতে থাকে পুলিশ। এক নারীর সঙ্গে সজীবের প্রতিদিন মোবাইলে কথা হতো। সেটার সূত্রে ধরে ওই নারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও সজীবের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের কথা স্বীকার করেন। এ ঘটনায় সজীবের ভাই ইকবাল হোসেন মামলা করলে তদন্ত করতে গিয়ে হত্যার তিন দিনের মাথায় হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রো।
শনিবার (৩০ অক্টোবর) রাতে নুরুল আমিনকে হবিগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করে পিবিআই। রোববার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার জাহানের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। হত্যায় জড়িত গ্রেফতার ২ জন হলেন- হবিগঞ্জ জেলার বানিয়ারচং থানার শাহেদপুরের ইদ্রিস আলীর ছেলে মো. নুরুল আমিন ও কুমিল্লা জেলার দেবীদ্বার থানার আব্দুল্লাহপুর এলাকার গণি বাড়ির আবুল হোসেনের ছেলে মো. শাজাহান।
পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা বলেন, অজ্ঞাত মরদেহ উদ্ধারের তিন দিনের মাথায় আমরা পরিচয় শনাক্তের পাশাপাশি হত্যায় জড়িত দুইজনকে গ্রেফতার করেছি। প্রেমিকার সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার কথা বলে গত ২৫ অক্টোবর রাত সাড়ে ৯টার দিকে টোল রোড এলাকায় নেওয়া হয় সজীবকে। এরপর ধানখেতের দিকে নিয়ে গেলে সজীব বিষয়টি আঁচ করতে পেরে পালানোর চেষ্টা করলে নুরুল জাপটে ধরেন। পরে শাহজাহানসহ অপর দুইজন তার বুকের ওপর চড়ে বসেন ও নুরুল শ্বাসরোধে হত্যা করেন। মরদেহ ধানখেতে ফেলে রেখে শাহাজান সঙ্গীদের রিকশাযোগে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
তিনি বলেন, মো. নুরুল আমিন রিকশা যোগে অলংকার মোড়ে একটি হোটেলে রাতযাপন করে সকালে চট্টগ্রাম ত্যাগ করে হবিগঞ্জ চলে যায়।
গ্রেফতার মো. নুরুল আমিন রোববার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দিতে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে বাধা হয়ে দাঁড়ানোর কারণে সজীবকে হত্যা করেন বলে স্বীকার করেছেন নুরুল আমিন। এ কাজে তাকে শাহজাহানসহ তিনজন সহযোগিতা করেছেন। বাংলানিউজ