
এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়া সদরের চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক সংযুক্ত আলুরঘাট রোডের বটতলী স্টেশন থেকে টিএন্ডটি অফিস পর্যন্ত ২৭০ মিটার সড়কের বেহাল দশা। সড়কটির নির্মাণ কাজের মেয়াদ প্রায় ১০ মাস অতিবাহিত হলেও এখনো কাজ শুরু হয়নি। এ নিয়ে এলাকাবাসীর চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সৃষ্টি হয়েছে ক্ষোভ।
জানা যায়, আলুরঘাট রোডের বটতলী স্টেশন থেকে টিএনটি অফিস পর্যন্ত ২৭০ মিটার সড়কের রিজিট প্যাভম্যান্ট (আরসিসি ঢালাই) এর কাজ পায় মেসার্স রয়েল এসোসিয়েট নামে একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৫ লক্ষ টাকা। সড়কের কাজ শুরুর কথা ২০২১ সালের ২২ মার্চ। ২০২২ সালের ২২ মার্চ কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার এখনো কাজ শুরু করতে পারেনি। উক্ত সড়কটি দিয়ে পশ্চিম আমিরাবাদ, আলুরঘাট, ডলুকুল, বড়হাতিয়ার সেনেরহাট এবং সাতকানিয়া উপজেলার সোনাকানিয়া ও গারাঙ্গিয়া এলাকার হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করেন। সংস্কার না হওয়ায় সড়কের বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। শীতকালের এক পশলা বৃষ্টিতে গর্তগুলোতে পানি জমে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে।
সরেজমিনে দেখা যায়, আলুরঘাট রোডের বটতলী স্টেশন থেকে ২৭০ মিটার অংশে পুরোটাই ভেঙ্গে চুরমার হয়ে গেছে। সড়কের এ অংশে উভয় পাশে রয়েছে বহু বাণিজ্যিক, আবাসিক ভবন, মসজিদ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সড়কে সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় গর্ত। শীতকালে এক পশলা বৃষ্টিতেও এসব গর্তে জমে আছে পানি। এসব গর্তে গাড়ির চাকা পড়া মাত্রই ডানে-বামে দোল খাচ্ছে। ফলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন যাত্রীরা।


লোহাগাড়া শহর উন্নয়ন কমিটির সাবেক সভাপতি মামুনুর রশিদ চৌধুরী জানান, বটতলী স্টেশনের আলুরঘাট রোডটি খুব ব্যস্ততম। এ সড়কের দুই পাশে অসংখ্য ছোট-বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিদিন পণ্যবাহী শত শত ট্রাক-কাভার্ডভ্যানসহ ছোট-বড় যানবাহন এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে। দীর্ঘদিন যাবত সড়কের এই অংশটুকু সংস্কার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। দ্রুত রাস্তাটি সংস্কার করে ব্যবসায়ীদের ব্যবসা পরিচালনা ও পথচারীদের চলাচলের পথ সুগম করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ কামনা করেছেন।
ঠিকাদার আবদুর রশিদ জানান, সড়কটির নির্মাণ কাজের মেয়াদ চলতি বছরের মে পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। শীঘ্রই সড়কের সংস্কার কাজ শুরু হবে।
লোহাগাড়া উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মোহাম্মদ ইফরাদ বিন মুনির জানান, মহাসড়ক থেকে আলুরঘাট রোডের ২৭০ মিটার অংশে বর্ষার বৃষ্টি কারণে কাজ শুরু করা যায়নি। শীঘ্রই সড়কটির আরসিসি ঢালাইয়ের কাজ শুরু হবে।