এলনিউজ২৪ডটকম: জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, জুলাই আন্দোলনে যারা শহীদ ও আহত হয়েছেন তাদের প্রতি কমিটমেন্ট ছিল সংবিধান নামে যে আওয়ামী বিধান রয়েছে সেটি পরিবর্তন করতে হবে। এই আওয়ামী বিধান মধ্য দিয়ে রাষ্ট্র ফ্যাসিবাদী হয়েছে। আমাদের নাগরিক অধিকার হরণ করা হয়েছে। খুন, গুম ও নিপিড়নের রাজনীতি করা হয়েছে। বিরোধী দলকে মত প্রকাশ থেকে বিরত রাখা হয়েছে। ভোটের অধিকার হরণ করা হয়েছে। রাতের ভোট ও ঢামি নির্বাচনের সংস্কৃতি চালু করা হয়েছে। সবকিছু থেকে উত্তোরণের জন্য এই সংবিধান পরিবর্তনের কোনো বিকল্প নেই। রোববার (২৫ মে) বিকেলে লোহাগাড়া উপজেলা সদর বটতলী স্টেশনে এক পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, শিগগিরই জুলাই ঘোষণাপত্র, আওয়ামী লীগ আমলের সব নির্বাচন অবৈধ ঘোষণা, সরকারকে বিচার কার্যক্রম, সংস্কার কার্যক্রম ও নির্বাচনী রোডম্যাপ সুস্পষ্টভাবে ঘোষণা করতে হবে। সাম্য ও ন্যায্যতার বাংলাদেশ চাই, যেখানে নাগরিকের কাছে রাষ্ট্রের দায়বদ্ধতা থাকবে।

তিনি বলেন, অসাম্প্রদায়িক নাম দিয়ে ধর্মহীনতার বাংলাদেশ পরিচালনার চেষ্টা করা হয়েছে। আমরা চাই পরিবর্তিত বাংলাদেশ হবে সাম্প্রতিক সম্প্রীতির বাংলাদেশ। এখানে সবাই মিলেমিশে বসবাস করব। এনসিপি নির্বাচনের বিপক্ষে নয়। কিন্তু জুলাই-আগস্টে যারা গুম, খুন ও নির্যাতন করেছে তাদের (আওয়ামী লীগের) বিচার আগে হতে হবে। তারপর নির্বাচন দিতে হবে।
তিনি আরো বলেন, পরবর্তী বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। দেশের প্রতিটি দপ্তর ও প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রকে সুষ্ঠাভাবে পরিচালনা জন্য তাদের ভূমিকা অপরিহার্য। রাষ্ট্রের এসব প্রতিষ্ঠানগুলো নিরপেক্ষ থাকবে, কোনো দলের হয়ে কাজ করবে না। আমরা দেখেছি বিগত সময়ে রাস্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলোকে দলীয় কাজে লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। বিচার বিভাগকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ সরকার অবৈধ কাজের বৈধতা নিশ্চিত করেছে। বিচার বিভাগের কাঁধে বন্দুক ঠেকিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার তার শাসন কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। আমরা প্রত্যক্ষ করেছি পুলিশকে লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে ব্যবহার করে মনোবল ভেঙে দেয়া হয়েছে। পুলিশকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেয়া হয়েছে। রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলো কারো প্রতিপক্ষ নয়, বরং রাষ্ট্র গঠনে তাদের ভূমিকা অপরিহার্য।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, অন্তরবর্তী সরকারের সড়ক বিভাগে যিনি দায়িত্ব রয়েছে তিনি চট্টগ্রামেরই সন্তান। তাকে জবাবদিহীতা করুন তিনি চট্টগ্রামের সন্তান হয়েও কেন চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের এই অবস্থা। মহাসড়ক প্রশস্ত করার জন্য কেন এখনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। এনসিপি নেতৃত্ব জনগণের পাশে আছে এবং থাকবে।
পথসভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক পাটির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, যুগ্ম সদস্য সচিব মীর আরশাদুল হক, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ডা. মাহমুদা আলম মিতু, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মো. আতাউল্লাহ, সংগঠক আরমান হোসেন, আজিজুর রহমান রিজভী ও কেন্দ্রীয় সদস্য জোবায়ের আলম মানিক প্রমুখ।