নিউজ ডেক্স : অর্থ-সম্পদ উপার্জনের অনেক বৈধ মাধ্যম ও পেশা রয়েছে উল্লেখ করে উচ্চ আদালত বলেছেন, রাজনীতিবিদরা এর জন্য এ পেশার আওতায় আসতে পারে না।
মঙ্গলবার (৩০ মে) দণ্ডের বিরুদ্ধে বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের দুই নেতার আপিল খারিজের রায়ে এমন পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আর আমান উল্লাহ আমানের ১৩ ও তার স্ত্রী সাবেরা আমানের তিন বছরের দণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।
রায়ের পর্যবেক্ষণে হাইকোর্ট বলেছেন, অর্থ-সম্পদ অর্জনের জন্য বৈধ ব্যবসাসহ অনেক মাধ্যম ও পেশা রয়েছে। কিন্তু নিজ ও নির্ভরশীলদের নামে অর্থ-সম্পদ অর্জনের জন্য একটি পেশার আওতায় রাজনীতি ও রাজনীতিবিদরা আসতে পারে না।
আদালত বলেন, জনগণ ও দেশের কল্যাণে নিজেদের উৎসর্গ করার উদ্দেশ্যই রাজনীতিবিদরা রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হন। দেশের মানুষের জন্য এক ধরনের মহান ত্যাগ ও নিষ্ঠা নিয়ে রাজনীতিবিদরা কাজ করেন।
‘রাজনীতিবিদরা রক্ষক হবেন, তারা ভক্ষক হবেন না। ’
দুর্নীতির খারাপ অবস্থা তুলে ধরে আদালত বলেন, দুর্নীতি সমস্ত লিঙ্গ, বয়স এবং বর্ণের মানুষকে প্রভাবিত করে। এটি দরিদ্র এবং দুর্বল জনগোষ্ঠীকে বেশি আঘাত করে। দেশের জনগণ বিশেষ করে দায়িত্বশীল স্টেকহোল্ডারদের একটি ইতিবাচক দৃষ্টান্ত স্থাপন করা উচিত, যে তারা কেবল দুর্নীতির শিকারই নয়, এর বিরুদ্ধে সংগ্রামের মূল খেলোয়াড়ও।
আদালত আরও বলেন, আপনি যদি বিশ্বে পরিবর্তন আনতে চান এবং আপনি যদি বাংলাদেশকে দুর্নীতি ও অর্থমুক্ত করতে চান, তাহলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়াই করতে হবে। দুর্নীতিবাজদের আইনের আওতায় আনার জন্য একটি কার্যকর ও শক্তিশালী ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে, হিসাব দেওয়ার দায়িত্ব থাকতে হবে এবং আইনের বিধান অনুসরণ করে ব্যবস্থা নিতে হবে।
দুর্নীতির বিষয়ে ছোটবেলা থেকে শিশুদের শিক্ষা দেওয়া দরকার উল্লেখ করে আদালত বলেছেন, বাল্যকাল থেকেই শিশুদের মধ্যে সততা এবং অসততার পার্থক্য শেখানো উচিত।
বাংলাদেশিদের জন্য বাংলাদেশি ছাড়া কেউ দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারবে না উল্লেখ করে আদালত বলেন, বাংলাদেশে দুর্নীতির অবসান ঘটানো, তা যেখানেই হোক বা যে রূপেই হোক না কেন। আমরা জানি যে সফল হওয়ার একমাত্র উপায় হলো নাগরিকদের দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে সম্পৃক্ত করা।