ব্রেকিং নিউজ
Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | ১০ বছর পর প্রকল্প বাতিল, হচ্ছে না ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে

১০ বছর পর প্রকল্প বাতিল, হচ্ছে না ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে

নিউজ ডেক্স : ১০ বছর আগে পরিকল্পনা গ্রহণ করে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে প্রায় শত কোটি টাকা খরচের পর ঢাকা-চট্টগ্রাম ২২৫ কিলোমিটার এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পটি বাতিল করে দিয়েছে সরকার।

গতকাল রোববার অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) ভিত্তিতে চলমান প্রকল্পটি বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে সংবাদ সম্মেলনে আসা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সামসুল আরেফিন বলেছেন, বর্তমান চার লেইনের সড়কের সঙ্গে সার্ভিস লেইন হবে। বন্দর নগরীর সঙ্গে রাজধানীর সড়ক যোগাযোগ সহজ করতে এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের পরিকল্পনা করেছিল সরকার, তা এলিভেটেড করার ভাবনাও ছিল। খবর বিডিনিউজের।

ব্যস্ততম মহাসড়কটি চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্প চলার মধ্যেই ২০১১ সালের দিকে উড়াল সড়ক বা এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের আলোচনা শুরু হয়। ২০১৩ সালে প্রকল্পটি অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় নীতিগত অনুমোদন পাওয়ার পর সমীক্ষা পরিচালনা ও বিশদ নকশা প্রণয়ন করা হয়।

২০১৬ সালে প্রকল্পের নকশা প্রস্তাবের সময় হিসাব দেওয়া হয়েছিল, বাজার এলাকায় দ্বিতল সড়ক করে এই প্রকল্প বাস্তবায়নে ২৬ হাজার ৫৮৮ কোটি টাকা লাগবে। আর পুরো সড়ক দ্বিতল করতে লাগবে ৬৭ হাজার ২৫২ কোটি টাকা। এরপর সড়ক ও জনপথ বিভাগের কাজ এগিয়ে চলার মধ্যে এখন তা বাতিল হয়ে গেল।

অতিরিক্ত সচিব সামসুল আরেফিন বলেন, পিপিপিভিত্তিক যে প্রকল্প ছিল, সেটি বাতিল করা হয়েছে। এর মানে হচ্ছে, এই প্রকল্প পিপিপিতে হবে না। এখন আপাতত দেশের সবগুলো মহাসড়ক চার লেইন করার দিকে জোর দেওয়া হচ্ছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কও তাই হবে। সড়কের দুই পাশে সার্ভিস লাইন নির্মাণ করা হবে।

কী কারণে প্রকল্পটি আর এগোচ্ছে না, সে বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে খোলাসা করেননি তিনি। শামসুল বলেন, এখন সিদ্ধান্ত হয়েছে, জাতীয় মহাসড়কগুলো চার লেইনের হবে এবং দুই পাশে সার্ভিস লাইন নির্মাণ করা হবে এবং সেটা হচ্ছে। আগে পিপিপিতে এই এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ প্রকল্প হওয়ার কথা ছিল। এখন পিপিপি প্রকল্প থেকে সরে এসেছে। এখন চার লেইনের বিশিষ্ট মহাসড়ক তৈরি হবে, এটাই হচ্ছে সভার সিদ্ধান্ত।

একশ কোটি টাকা ব্যয় হওয়া নিয়ে প্রশ্নে তিনি বলেন, একশ কোটি টাকা ইতোমধ্যে খরচ হয়ে গেছে। ওটা ফিজিবিলিটি স্টাডিজে ব্যয় হয়েছে, সে কারণে ওটা গচ্ছা যায়নি। বরং গচ্ছা থেকে বাঁচিয়েছে। টাকাটা খরচের বিষয়টি আলোচনা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে এটা ফিজিবিলিটি স্টাডিজ খাতে ব্যয় হয়েছে।

২০১৬ সালে চট্টগ্রামে এক অনুষ্ঠানে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সুবিধা বর্ণনা করে বলেছিলেন, ২০১৮ সালের শুরুতেই এই নির্মাণ কাজ শুরু হবে। কাজ শেষে আড়াই ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম যাতায়াত সম্ভবপর হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!