এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়া উপজেলার কলাউজান খদিজাতুল কোবরা (রাঃ) মহিলা মাদ্রাসার সুপার আনিছুল মোস্তফার বিরুদ্ধে প্রতারণা ও জালিয়তির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই মাদ্রাসার সহকারী মৌলভী আবদুল জব্বার এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মহাপরিচালক মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা এবং মহাপরিচালক দুদক, ঢাকা বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে প্রকাশ, ওই সুপার প্রতারণা ও জালিয়তির মাধ্যমে ভূয়া অভিজ্ঞতা সনদ দিয়ে সরকারী অর্ধকোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ২০১৭ সালে ভূয়া অভিজ্ঞতা সনদ দিয়ে টাইম স্কেল প্রসেস বন্ধের জন্য জেলা শিক্ষা অফিসে লিখিত অভিযোগ করেছিলেন অভিযোগকারী। উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে তৎকালীন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ফাইল প্রসেসিং বন্ধ রাখে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বদলী হওয়ার সুবাধে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে মোটা অংকের আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে জেলা শিক্ষা অফিসকে প্রভাবিত করে ওই ফাইল পুণরায় প্রসেসিং করে।
অভিযোগে আরো প্রকাশ, আনিছুল মোস্তফা আধুনগর ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ইবতেদায়ী শাখার জুনিয়র মৌলভী ছিলেন। যার ইনডেক্স নং- ৩০৮২২২। তিনি ২০০০ সালের শেষের দিকে বা ২০০১ সালের শুরুর দিকে উক্ত মাদ্রাসা থেকে চাকুরি হারান। নিয়মানুসারে ৬ মাসের মধ্য অন্য কোন প্রতিষ্ঠানে যোগদান না করলে উক্ত ইনডেক্স নাম্বার বাতিল হয়ে যায়। কিন্তু তিনি ২০০৩ সালের মে মাসে রাজনৈতিক প্রভাব কাটিয়ে আগের ইনডেক্স নম্বর দিয়ে কলাউজান খদিজাতুল কোবরা (রাঃ) মহিলা মাদ্রাসার সুপার পদে যোগদান করেন।
অভিযোগ সূত্রে আরো জানা যায়, আধুনগর ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার দেয়া অভিজ্ঞতা সনদে জুনিয়র মৌলভী উল্লেখ থাকলেও তিনি জালিয়তি করে সহকারী মৌলভীর সনদপত্র দাখিল করেন এমপিও ফাইলে। যা আধুনগর ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার এমপিও কপির ইনডেক্স নাম্বার যাচাই করলে প্রমাণিত হবে বলে অভিযোগকারী জানান। এছাড়াও কলাউজান খদিজাতুল কোবরা (রাঃ) মহিলা মাদ্রাসার নিয়োগ পরীক্ষায় প্রথম না হলেও মোটা অংকের লেনদেনের মাধ্যমে নিয়োগ নেন।
এ ব্যাপারে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি মাওলানা শিহাব উদ্দিন ও সুপার আনিসুল মোস্তফা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, অভিযোগ সমূহ উদ্দেশ্য প্রণোদিত, ভুয়া ও মিথ্যা।