এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়ায় ৫ম শ্রেণির এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে ঈদের দিন অপহরণের পর ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষণের অভিযোগে মোঃ জাহেদ (২০) নামের এক কাঠমিস্ত্রিকে রোববার (১৭ জুন) রাতে গ্রেফতার করেছে লোহাগাড়া থানা পুলিশ। জাহেদ উপজেলার আধুনগর রশিদের ঘোনা আদর্শ গ্রামের মাহবুবুর রহমানের পুত্র।
জানা যায়, ভিকটিম ঈদের দিন দুপুরে উপজেলার চুনতি সাতগড় এলাকায় তার চাচাতো চাচার সঙ্গে ফুফুর বাড়িতে বেড়াতে যাই। সেখান থেকে ফেরার পথে গতিরোধ করে ভিকটিমকে জোর করে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় ধর্ষক। ঘটনা জানাজানি হলে ভিকটিমের স্বজনরা খোঁজাখুঁজি করলে কক্সবাজার জেলার চকরিয়া হারবাং এলাকায় ধর্ষক জাহেদের বন্ধু রেজাউল নামের একজনের বাড়িতে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। রোববার রাতে লোহাগাড়া থানা পুলিশ ধর্ষক জাহেদকে উপজেলার চুনতি বাজার থেকে আটক করে থানা হেফাজতে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে ভিকটিমের বাবা রিকশাচালক বাদী হয়ে লোহাগাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১৩, তারিখ: ১৭/০৬/২০১৮ ইং। স্থানীয়রা বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মেয়েটিকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। অপহরণ ও ধর্ষণকারী উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়। পরদিন স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ ধর্ষক জাহেদকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
এদিকে ভিকটিমের বাবা রিকশাচালক কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার মেয়েকে প্রায় সময় মাদরাসায় যাওয়ার পথে ধর্ষক জাহেদ বিরক্ত করত। এ ব্যাপারে তার পরিবারকে অভিযোগ করায় সে ক্ষিপ্ত হয়ে ঈদের দিন আমার মেয়ে বেড়াতে যাওয়ার সময় পিছু নিয়ে অপহরণ করে ধর্ষণ করে। তিনি ধর্ষকের উপযুক্ত শাস্তি কামনা করছেন।
লোহাগাড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ আবদুল জলিল বলেন, ৫ম শ্রেণির এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষণ করার অপরাধে ধর্ষক জাহেদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে লোহাগাড়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) আইনে মামলা রুজু করে আদালতে প্রেরণ করা হয়। তিনি আরো বলেন, ধর্ষক জাহেদ থানায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসায় ধর্ষণের কথা স্বীকার করেন। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য আদালতে রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।
এদিকে আজ মঙ্গলবার ভিকটিমের ডাক্তারী পরীক্ষায় সম্পন্ন করেছে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।