এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়ার মছদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম কর্তৃক প্রধান শিক্ষক রূপন কান্তি নাথ লাঞ্ছিত হওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলা পরিষদ গেইটের সামনে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারা এ মানববন্ধনের আয়োজন করেন।
এ সময় শিক্ষক নেতারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষা ও শিক্ষকদের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সভ্য মানুষের জায়গা, শিক্ষকরাই মানুষ গড়ার কারিগর। এ ঘটনা শিক্ষক সমাজের জন্য কলঙ্কজনক। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতির এহেন আচরণে প্রতিবাদে উপজেলা শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা জানান। অবিলম্বে সভাপতি সিরাজুল ইসলামের সদস্যপদ বাতিল করে গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করার দাবী জানান প্রশাসনের কাছে।
মানববন্ধনে উত্তর হরিণা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আহমদ হোছাইন, তেওয়ারীখীল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল আমিন, নজুমুন্নিছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহ জামাল, উজিরভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল কুদ্দছ, মধ্য পুটিবিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোজাহিদুল ইসলাম, উত্তর আমিরাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ ফেরদৌস, চুনতি হাকিমিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ ইলিয়াছ, চাকফিরানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শাহেদা করিমুন্নিছা, হাজারবিঘা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রূপশ্রী দাশ ও ভবানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাছির আহমদসহ প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষিকা উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, ১২ ফেব্রুয়ারি মছদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম অফিস কক্ষে এসে বিদ্যালয়ের স্লিপ, রুটিন মেরামত ও প্রাক-প্রাথমিক (২০১৮-২০১৯) বরাদ্দের হিসাব চান। প্রধান শিক্ষক রূপন কান্তি নাথ লিখিত হিসাব প্রদর্শন করেন। সভাপতি সিরাজুল ইসলাম প্রদর্শিত হিসাব না বুঝে চরম উত্তেজিত হয়ে পড়ে। পরে প্রধান শিক্ষককে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে ও দেখে নেয়ার হুমকি দিয়ে চলে যায়।
এ ঘটনায় বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়ে একইদিন প্রধান শিক্ষক রূপন কান্তি নাথ লোহাগাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ ও থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছেন।