ব্রেকিং নিউজ
Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | রাখাইনে ৩১ পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা : নিহত ৭১

রাখাইনে ৩১ পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা : নিহত ৭১

Untitled-1-16

নিউজ ডেক্স : মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ৩০টি পুলিশ ফাঁড়ি ও একটি সেনাঘাঁটিতে একযোগে হামলা হয়েছে। রোহিঙ্গা বিদ্রোহীরাই এই হামলা চালিয়েছে। এতে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যসহ ৭১ জন নিহত হয়েছে। রাখাইনের মংডু ও বুছিদং এলাকায় গত বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে এই হামলার সূচনা হয়। গতকাল শুক্রবার ভোর পর্যন্ত হামলা চলে। এর মধ্যে ২৯টি নিরাপত্তা আউটপোস্ট ও ৫৫২ ইনফেন্ট্র্রি বেইস। নিহতদের মধ্যে ১২ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য এবং ৫৯ জন রোহিঙ্গা বিদ্রোহী। নিরাপত্তা বাহিনীর ১২ সদস্যের মধ্যে ৮ জন বর্ডার গার্ড পুলিশ সদস্য, ২ জন পুলিশ অফিসার, ১ জন ইমিগ্রেশন অফিসার ও নিরাপত্তা বাহিনীর ১ সদস্য রয়েছে। নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে জানা গেছে।

অং সান সুচির অফিসের তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টার পর থেকে ৩১টি স্থানে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে রাছিদংয়ের কো থান কুক সেনা আউটপোস্টও রয়েছে। এটি গত বছরের ৯ অক্টোবরও সন্ত্রাসী আক্রমণের শিকার হয়েছিল। এ জেলায় বিজিপির তিনটি, মংডুতে ১৭টি ও বুছিদংয়ে ১১টি নিরাপত্তা আউটপোস্টে হামলার ঘটনা ঘটেছে।

রাখাইনের পরিস্থিতি নিয়ে কফি আনান কমিশনের প্রতিবেদন প্রকাশের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বড় ধরনের এই সমন্বিত হামলার ঘটনায় সংকট নতুন মাত্রা পেল। আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (এআরএসএ) নামে একটি গ্রুপ গতকাল হামলার দায় স্বীকার করেছে। এক সময়ে ‘হারাকা আল–ইয়াকিন’ নামে পরিচিত এই গ্রুপটিই গত বছরের অক্টোবরে পুলিশ ক্যাম্পে হামলা চালিয়েছিল। এই হামলার পর সেখানে আবার সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা তৈরি হলো। সেনাবাহিনীর নতুন দমন অভিযানের আশংকায় ঘরবাড়ি ছেড়ে বাংলাদেশ সীমান্তের দিকে মানুষের ঢল নেমেছে বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে জানা গেছে। এর আগে গত বছরের অক্টোবরে প্রায় একই ধরনের হামলায় নয় পুলিশ সদস্য নিহত হওয়ার পর বড় ধরনের দমন অভিযান চালায় মিয়ানমার সেনাবাহিনী। সেই সময় বেসামরিক রোহিঙ্গাদের নির্বিচারে হত্যা, গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া এবং ধর্ষণের মতো অপরাধ জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ ওঠে তাদের বিরুদ্ধে। সেনাবাহিনী সেই সময় মানবতাবিরোধী অপরাধে লিপ্ত হয় বলে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়। ওই দমন অভিযানের মুখে ৮৭ হাজার রোহিঙ্গা মুসলমান রাখাইন থেকে পালিয়ে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে।

মিয়ানমার সরকারের বিবৃতির বরাত দিয়ে একটি সংবাদ সংস্থা জানায়, রোহিঙ্গা গেরিলাদের সঙ্গে স্থানীয় গ্রামবাসী ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পুলিশ পোস্ট ঘিরে ফেলে এই হামলা চালায়। তাতে পাঁচ পুলিশ সদস্য এবং অন্তত সাতজন হামলাকারী নিহত হন। ভোর ৩টার দিকে প্রায় দেড়শ হামলাকারী খামারা এলাকায় একটি সেনা ক্যাম্পে ঢোকার চেষ্টা করলেও প্রতিরোধের মুখে পিছিয়ে যায় বলে জানানো হয়েছে সরকারের বিবৃতিতে।

চলতি মাসে নিরাপত্তা বাহিনী রাখাইনের দুর্গম পাহাড়ি এলাকায়গুলোয় নতুন করে দমন অভিযান শুরুর পর থেকে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। গত বৃহস্পতিবার রাতে শুরুর পর কিছু কিছু এলাকায় সেনা ও বিদ্রোহীদের মধ্যে এখনো সংঘর্ষ চলছে।

এদিকে ঘটনার পর এক বিবৃতিতে হামলাকারীদের বাঙালি হিসেবে আখ্যায়িত করেছে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চির কার্যালয়ের প্রেস উইং। বিবৃতিতে বলা হয়, উত্তরাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যের মংডু এলাকার একটি পুলিশ স্টেশনে হাতে তৈরি বোমা নিয়ে চরমপন্থি বাঙালি বিদ্রোহীরা আক্রমণ করে। রাত ১টার দিকে আরও কয়েকটি পুলিশ পোস্টে তারা সমন্বিত হামলা চালায়।

রোহিঙ্গাদের বিষয়ে মিয়ানমারে ব্যাপক বিরোধিতা বিদ্যমান। দীর্ঘদিন ধরে সেনা শাসনে থাকা দেশটির রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী বিভিন্ন সময়ে দমন–পীড়নের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। তিন দশক ধরে ৫ লাখের বেশি রোহিঙ্গার ভার বহন করছে বাংলাদেশ।

রাখাইন জনগোষ্ঠী রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ থেকে আসা অবৈধ অভিবাসী হিসেবে দেখে থাকে। সু চির নিজ দলেরও অনেকে এই অবস্থানে আছেন। এই কারণে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব ও মৌলিক অধিকার দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছে মিয়ানমার। গত বছরের মে মাসে মিয়ানমারে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের নতুন রাষ্ট্রদূত স্কট মার্শিয়েলকে ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি ব্যবহার না করার পরামর্শ দেন সু চি।

গত বছরের অক্টোবরে দমন অভিযান শুরুর প্রেক্ষাপটে নতুন করে আশ্রয় নেওয়া সব রোহিঙ্গাসহ দেশটির সব জনগোষ্ঠীকে ফেরত নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আসছে বাংলাদেশ। মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংকট থেকে উদ্ভূত এই শরণার্থী সমস?্যা সমাধানে পদক্ষেপ নিতে বারবার আহ্বান সত্ত্বেও আগের শরণার্থীদের ফিরিয়ে নেওয়ার কোনো উদে?্যাগও নিচ্ছে না দেশটির সরকার। সু চির প্রেস উইং জানিয়েছে, ১৫০ জন রোহিঙ্গা আক্রমণকারী একটি সেনা ক্যাম্প ভাঙার চেষ্টা চালিয়েছিল, সেনাবাহিনী পাল্টা হামলা করেছে।

সাম্প্রতিক অভিযানের প্রসঙ্গ টেনে মিয়ানমার পুলিশ সদর দপ্তরের মুখপাত্র কর্নেল মায়ো থু সোয়ি বলেন, আমরা তাদের ক্যাম্প, গুহা ও বোমা এবং গুহার ভেতর মুখোশ খুঁজে পেয়েছি বলেই তারা হামলার পরিকল্পনা করেছে। এদিকে এবার হামলাকারীর সংখ্যা গত অক্টোবরের হামলাকারীদের থেকে অন্তত পাঁচ গুণ বেশি হবে জানিয়েছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। রয়টার্স জানায়, অন্তত ৫০টি গ্রামের এক হাজার বিদ্রোহী হামলায় অংশ নেয় বলে সেনা সদস্যরা মনে করছেন।

ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের বরাত দিয়ে তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়, রাখাইনে ২০১২ সালের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার পর সৌদি আরবে পালিয়ে যাওয়া রোহিঙ্গারা তৈরি করে এআরএসএ গ্রুপ, যারা ইতোমধ্যে হামলার দায় স্বীকার করেছে। গ্রুপটির নেতা আতা উল্লাহ বলেছেন, শত শত তরুণ রোহিঙ্গা তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে। মানবাধিকার রক্ষায় সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ন্যায্য প্রতিরোধ তারা চালিয়ে যাবে।

এআরএসএর নামে করা একটি টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে এক পোস্টে হামলার দায় স্বীকার করে বলা হয়, বার্মিজ নির্যাতনকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে ২৫টির বেশি জায়গায় আমরা প্রতিরোধ কার্যক্রম চালিয়েছি। শিগগির আরও আসছে।

বৃহস্পতিবারের হামলার কয়েক ঘণ্টা আগে জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান রাখাইনের পরিস্থিতি নিয়ে তাদের তদন্ত প্রতিবেদন মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির কাছে হন্তান্তর করেন। পরে ইয়াঙ্গুনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, নাগরিকত্ব না পাওয়ায় এবং নিদারুণ বৈষম্যের কারণে মুসলমান রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হচ্ছে। তাদের ওপর বলপ্রয়োগের পথ ছেড়ে মিয়ানমার সরকারকে যৌক্তিক সমাধানের পথে আসতে হবে।

কমিশনের আশংকা, রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার নিশ্চিত না করা হলে এবং এ সম্প্রদায়টি রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে প্রান্তিক থেকে গেলে উত্তরাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্য জঙ্গিবাদের উর্বর ঘাঁটিতে পরিণত হবে।

ফের দাঙ্গা ছড়ানোর শঙ্কা

সমন্বিত হামলায় ৭১ জন নিহতের পর রাখাইনে ফের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। সেনাবাহিনীর নতুন দমন অভিযানের আশংকায় ঘরবাড়ি ছেড়ে বাংলাদেশ সীমান্তের দিকে মানুষের ঢল নেমেছে।

দিন দশেক আগে সরকার রাখাইন রাজ্যে নতুন করে সেনা মোতায়েন করলে রোহিঙ্গাদের মধ্যে উৎকণ্ঠা তৈরি হয়। এরই মধ্যে রাখাইনের মংডুতে হামলার ঘটনা ঘটল।

হামলার পর আইন–শৃঙ্খলা বাহিনী নতুন করে তৎপর হওয়ার পাশাপাশি কোনো কোনো স্থানে সংখ্যাগুরু বৌদ্ধ রাখাইনরা রোহিঙ্গা জনবসতিতে হামলা শুরু করেছে বলে খবর এসেছে। পাল্টা হামলায় আশঙ্কায় আতঙ্কে ভুগছেন রাখাইন গ্রামের বাসিন্দারাও।

গতকাল বিকালে মৌং মৌং চায় নামে হ্যামলেট গ্রামের এক রাখাইন রয়টার্সকে বলেন, আমরা শুনেছি মুসলমান গ্রামবাসী একত্র হচ্ছে। তারা সূর্য ডোবার পর আমাদের ওপর আবার হামলা করবে।

এদিকে অস্ত্রধারী একদল রাখাইনকে জেয় দি পাইন গ্রামের রোহিঙ্গা জনবসতিতে অন্তত ৭০০ রোহিঙ্গাকে ঘিরে রাখতে দেখার কথা বলেছেন রোহিঙ্গা মনিটরিং গ্রশুপে কর্মরত ক্রিস লেওয়া। জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের দি আরাকান প্রজেক্টের এই কর্মী সেখান থেকে প্রাণভয়ে পালিয়ে এসেছেন। সেই ৭০০ রোহিঙ্গার ভাগ্যে কী ঘটেছে তা তিনি জানতে পারেননি।

সীমান্তে নির্ঘুম রাত

মিয়ানমার থেকে প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে, রাতভর হালকা ও ভারী গোলাগুলির শব্দের প্রকম্পিত হয়ে ওঠে পুরো রাখাইন। মংডুর ঝিমংখালী, প্রোমা খালের মোর, প্রাংপ্রু, হচিঙ্গা, জেইট্টাখালী, নাইসা প্রু, ওয়াবেক, কিলা ডং, ওদং, আলীতাইনজা, মেরুল্যা বিজিপির ২ ও ৩ ব্যাটালিয়ানসহ বেশ কিছু আউটপোস্টে গোলাগুলি হয়েছে।

গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উখিয়ার রহমতেরবিল, ধামনখালী ও বালুখালী সীমান্ত এলাকার ওপারে মিয়ানমারের ঢেঁকিবনিয়া ও চাকমাকাটা এলাকা থেকে থেমে থেমে গুলির শব্দ শোনা গেছে।

বিপুল সংখ্যক বিজিবি সদস্য সীমান্তের এসব এলাকায় সতর্ক প্রহরায় আছেন। তবে বিজিবি সদস্যরা কোনো ধরনের মন্তব্য করতে রাজি হননি। এ ব্যাপারে কক্সবাজার ৩৪ বিজিবি অধিনায়কের ফোনে বার বার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

মিয়ানমার সীমান্তবর্তী গ্রামের বাসিন্দারা জানিয়েছে, রাত ১টায় এই সংঘর্ষ শুরু হলে নাফ নদীর এপার থেকেও মুহুর্মুহু গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। এ নিয়ে সীমান্ত এলাকার অধিবাসীদের মাঝে আতংকের সৃষ্টি হয়। অনেকেই নির্ঘুম রাত কাটায়।

সীমান্তের বালুখালী এলাকার অধিবাসী বাবলু চৌধুরী জানান, রাতে গোলাগুলির শব্দ শুনে সীমান্তবাসীদের ঘুম ভেঙে যায়। বৃহস্পতিবার রাত ছাড়াও শুক্রবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত সীমান্তের ওপার থেকে গোলাগুলির শব্দ আসে।

সীমান্তের ওপারের বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, রাতের ঘটনার জের ধরে গতকাল জুমার নামাজের সময় বিভিন্ন মসজিদে হামলা হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকার একটি প্রাচীন মসজিদেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। আগুনের শিখা সীমান্তের এপার থেকেও দেখা গেছে।

এদিকে মিয়ানমারে সংঘর্ষে নিহতদের মধ্যে মৌলভী রফিক নামের একজনের নাম গেছে। তিনি রোহিঙ্গাদের সশস্ত্র একটি গ্রুপের মংডু অঞ্চলের সেক্টর কমান্ডার। ঘটনার পর থেকে সহিংস এলাকায় অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। রোহিঙ্গাদের এলাকা ঘিরে সেখানে অভিযান চালানো হচ্ছে। যুবকদের ধরে নিয়ে যাওয়া যাচ্ছে। সেনা অভিযানের ভয়ে রোহিঙ্গা গ্রামগুলো পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে। আতংকে সীমান্তের দিকে পালিয়ে আসছে হাজার হাজার রোহিঙ্গা নারী–পুরুষ।

প্রসঙ্গত, রোহিঙ্গাদের আবাসভূমি আরাকান এক সময় স্বাধীন রাজ্য থাকলেও অষ্টাদশ শতকের শেষভাগে বার্মার রাজা ওই এলাকা দখল করেন। আরাকানে জাতিগত বিভেদ তখন থেকেই।

গত শতকের চলিহ্মশের দশকের পর আরাকানে বৌদ্ধ মগ ও রোহিঙ্গা মুসলমানদের মধ্যে বহুবার জাতিগত দাঙ্গা লেগেছে। সামরিক শাসনামলে মিয়ানমারের ওই রাজ্যে চলেছে দফায় দফায় দমন অভিযান। রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন সংগঠন বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনের পথেও হেঁটেছে।

দেশটিতে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গার নাগরিকত্ব অস্বীকার করা হয়। এমনকি দেশটির সরকার তাদের প্রাচীন নৃগোষ্ঠী হিসেবেও স্বীকৃতি দেয়নি। মিয়ানমারের উগ্র জাতীয়তাবাদীরা জোর দিয়ে বলে আসছে, রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ থেকে আসা অবৈধ অভিবাসী। তারা রোহিঙ্গাদের ‘বাঙালি’ বলে অভিহিত করে।

মিয়ানমারে রাজনৈতিক সহিংসতার কারণে গত শতকের আশির দশক থেকে কয়েক লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছে বাংলাদেশে। তাদের ফিরিয়ে নিতে বার বার আহ্বান জানানো হলেও মিয়ানমারের সাড়া পাওয়া যায়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!