Home | শিক্ষাঙ্গন | মঙ্গলবার প্রাথমিকের বৃত্তির ফল প্রকাশ

মঙ্গলবার প্রাথমিকের বৃত্তির ফল প্রকাশ

Primary-Scholarship20170410171049

নিউজ ডেক্স : প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার ফল আগামীকাল মঙ্গলবার প্রকাশ করা হবে। এবার প্রাথমিকে বৃত্তি পেয়েছে সাড়ে ৮২ হাজার শিক্ষার্থী। এছাড়া এদিন ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার বৃত্তির ফলও প্রকাশ করা হবে।

মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান আনুষ্ঠানিকভাবে বৃত্তির ফল প্রকাশ করবেন।

২০১৬ সালের পঞ্চম শ্রেণির প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনীর ফলাফলের ভিত্তিতে এ বৃত্তির ফল তৈরি করা হয়েছে।

এদিকে, গত ২৯ ডিসেম্বর প্রাথমিক ও ইবতেদায়ির সঙ্গে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার ফল প্রকাশ হলেও জেএসডি ও জেডিসি পরীক্ষার বৃত্তির ফল প্রকাশের তারিখ এখনো ঠিক করতে পারেনি মন্ত্রণালয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই) সূত্র জানায়, এ বছর পঞ্চম শ্রেণির প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা ফলের ওপর ভিত্তি করে সাড়ে ৮২ হাজার বৃত্তি দেওয়া হবে। এর মধ্যে মেধা কোটায় (ট্যালেন্টপুল) বৃত্তি পাবে ৩৩ হাজার শিক্ষার্থী। সাধারণ কোটায় বৃত্তি পাবে সাড়ে ৪৯ হাজার। মেধা কোটায় বৃত্তিপ্রাপ্তরা ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রতি মাসে ৩০০ টাকা এবং আর সাধারণ কোটায় ২২৫ টাকা করে বৃত্তির অর্থ পাবে।

সাধারণ কোটায় ইউনিয়ন ও পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে ছয়টি করে বৃত্তি দেওয়া হবে। এর মধ্যে তিনজন ছাত্রী ও তিনজন ছাত্র। এছাড়া ওয়ার্ড পর্যায়ে বৃত্তি প্রদানের পর অবশিষ্ট বৃত্তি হতে প্রতিটি উপজেলায় বা থানায় দুই জন ছাত্র ও দুই জন ছাত্রীকে বৃত্তি দেওয়া হবে।

প্রতি বিভাগের শিক্ষার্থীদের ফলাফলের ভিত্তিতে প্রতিটি বিভাগ হতে তিনটি করে ২৪টি সাধারণ বৃত্তি প্রদানের পর চারটি সাধারণ বৃত্তি সংরক্ষণ করা হবে।

এ ব্যাপারে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. নজরুল ইসলাম খান জাগো নিউজকে বলেন, ঝরে পড়া রোধ, শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বৃদ্ধি ও সুষম মেধা বিকাশের লক্ষ্যে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উপজেলাভিত্তিক বৃত্তি দেয়া হয়। ফলে সব শিক্ষার্থী বৃত্তি পাওয়ার প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারে ও শিক্ষার মান বৃদ্ধি পায়।

তিনি জানান, আগে বিদ্যালয় থেকে প্রথমসারির কিছুসংখ্যক মেধাবী শিক্ষার্থী বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিত। বাকিরা বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পেত না বলে এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতো।

এ বছর পিইসিতে ২৭ লাখ ৮৮ হাজার ৪৩২ জন শিক্ষার্থী পাস করেছে। এদের মধ্যে প্রাথমিক সমাপনীতে ৯৮ দশমিক ৫১ শতাংশ ও ইবতেদায়িতে ৯৫ দশমিক ৮৫ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। প্রাথমিকে জিপিএ-৫ পেয়েছে দুই লাখ ৮১ হাজার ৮৯৮ ও ইবতেদায়িতে পাঁচ হাজার ৯৪৮ জন।

২০০৯ সালে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা শুরু হয়। পরের বছর ইবতেদায়ির শিক্ষার্থীদের সমাপনী পরীক্ষা নেয়া শুরু হয়। উভয় সমাপনী পরীক্ষা চালুর পর আলাদা বৃত্তি পরীক্ষার পরিবর্তে সমাপনীতে অংশগ্রহণকারীদের মেধা তালিকা করে বৃত্তির জন্য নির্বাচিত করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!