ব্রেকিং নিউজ
Home | অন্যান্য সংবাদ | বাতিল হতে পারে জায়েদ খানের প্রার্থিতা, অভিযোগ মন্ত্রণালয়ে

বাতিল হতে পারে জায়েদ খানের প্রার্থিতা, অভিযোগ মন্ত্রণালয়ে

নিউজ ডেক্স : শেষ হয়েও যেন শেষ হচ্ছে না বাংলাদেশ শিল্পী সমিতির নির্বাচন। ভোটাভুটি হয়েছে পাঁচদিন হয়ে গেল। তবুও থামছে না নির্বাচনে অনিয়ম নিয়ে আলোচনা-বিতর্ক। নিপুণের দাবি, বিএফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক, প্রধান নির্বাচন কমিশনার- সবাই কাজ করেছেন জায়েদ খানের পক্ষে। তাই ফলাফল গেছে তার বিপক্ষে।

পাশাপাশি সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী হতে জায়েদ খান নোট দিয়ে ভোট কিনেছেন বলেও দাবি করেছেন নিপুণ। নির্বাচনের দিন থেকেই এ অভিযোগ করে আসছেন তিনি। ফল প্রকাশের পর ১৩ ভোটে হেরে যাওয়া অভিনেত্রী নিপুণ জায়েদ ও তার প্যানেলের হয়ে কার্যকরী সদস্যপদে জয়ী চুন্নু ভোটারদের টাকা দিয়েছেন বলে একটি ভাইরাল ভিডিও জনসম্মুখে নিয়ে আসেন। এরপর থেকেই চলছে অভিযোগ-পালটা অভিযোগ।

জানা গেছে, এ দুজনের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহানের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন নিপুণ। সেই অভিযোগ আমলে নিয়ে শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান ও কার্যনির্বাহী সদস্য চুন্নুর প্রার্থিতা বাতিলের দিকনির্দেশনা চেয়েছেন সােহানুর রহমান সােহান। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর দেওয়া এক চিঠিতে এই দিকনির্দেশনা চেয়েছেন সােহান।

এ বিষয়ে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সমাজসেবা অধিদফতরের তথ্য অধিকার শাখার উপ-পরিচালক রকিব আহমেদ গণমাধ্যমে বলেন, ‘১৯৬১ সালের সেচ্ছাসেবী সংস্থা নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ ১৯৬১-তে বলা আছে, আমাদের নিবন্ধিত কোনো সংস্থা বা সংগঠনের নির্বাচনে তদন্তপূর্বক অনিয়ম পায় তাহলে কমিটি বাতিল করে প্রশাসক নিয়োগের ব্যবস্থা আছে। আমরা গঠনতন্ত্রকে বাইবেল হিসেবে ধরি। গঠনতন্ত্রে যদি আমরা সমাধান না পাই সেক্ষেত্রে আইনের কাছে যাই, দেখি যে আইনে কি বলা আছে।

এদিকে, সমিতির গঠনতন্ত্রে শপথ গ্রহণের বাধ্যবাধকতা না থাকায় নিজের দায়িত্ব নিজেই বুঝে নিয়েছেন জায়েদ খান। তিনি এক সংবাদ সম্মেলনে সম্প্রতি এ বিষয়ে বলেন, ‘আমাদের গঠনতন্ত্রের কোথাও শপথের কথা উল্লেখ নেই। আমরা এটা করি জাস্ট ফরমালিটিজ।

আনুষ্ঠানিকতা হলো বিদায়ী কমিটি নতুন কমিটিকে ক্ষমতা বুঝিয়ে দেবে। যেমন- সেক্রেটারি নতুন সেক্রেটারিকে বুঝিয়ে দেবে। যেহেতু আমি নিজেই সেক্রেটারি তাই আমারটা বুঝে নিয়েছি।’ এ প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা শহীদুল হারুন বলছেন ভিন্ন কথা। তিনি বলেন, ‘যেহেতু সাধারণ সম্পাদক পদটি নিয়ে এখনো বিতর্ক চলছে সেহেতু ক্ষমতা বুঝিয়ে দিতে একটু সময় লাগবেই।’

জানা গেছে, আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি শিল্পী সমিতির নতুন কমিটির কাছে ক্ষমতা আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর হতে পারে। শেষ পর্যন্ত কি ঘটতে যাচ্ছে শিল্পী সমিতির নতুন কমিটি নিয়ে, সেই উত্তর জানতে অপেক্ষা করতে হবে আরও কিছুদিন। -জাগো নিউজ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!