ব্রেকিং নিউজ
Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | পছন্দের ফার্নিচার না দেওয়ায় ভেঙে গেল বিয়ে

পছন্দের ফার্নিচার না দেওয়ায় ভেঙে গেল বিয়ে

(ফাইল ফটো)

(ফাইল ফটো)

নিউজ ডেক্স : পটিয়ায় বর পক্ষের পছন্দের ফার্নিচার না দেওয়ায় কনে পক্ষের লোকজনকে অপমান করার জের ধরে বিয়ের অনুষ্ঠানেই একটি বিয়ে ভেঙে যায়। ঘটনাটি ঘটে গত সোমবার দিবাগত রাত ১২ টায়। পরে উভয় পক্ষের প্রতিনিধিদের এক বৈঠকে বর যাত্রী খাওয়ানোসহ কনে পক্ষকে ২ লাখ টাকা ক্ষতি পূরণ দিতে সম্মত হয় বর পক্ষ। জিম্মা হিসাবে তারা বরকে কনে পক্ষের হেফাজতে রেখে যায়। গতকাল বিকেল ৫ টায় মধ্যস্থতাকারী শের আলী জানান, বর পক্ষ বৈঠকের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২ লক্ষ টাকা দিয়ে বরকে ফিরিয়ে নিয়েছেন।

জানা যায়, গত সোমবার দুপুরে পটিয়ার শোভনদন্ডী ইউনিয়নের বদিউল আলমের কন্যার সাথে আনোয়ারার ওষখাইনের ইছহাক মিয়ার পুত্র শফিকুল আলম প্রকাশ সাহেদের বিয়ের দিন তারিখ ধার্য্য ছিল। এতে ৭ লাখ টাকার কাবিননামাও সম্পাদন হয়। এতে চুক্তি হয় কনে পক্ষ বর পক্ষকে ফর্নিচার ও ফ্রিজ এবং ৬ শত বর যাত্রী খাওয়াবে। রবিবার বিয়ের আগের দিন কনে পক্ষ বরের বাড়িতে কয়েক রকমের ফার্নিচার পাঠায়। কিন্তু বর পক্ষ ফার্নিচার তাদের পছন্দ মত না হওয়ায় ফেরত পাঠায় এবং দুর্ব্যবহার করে বলে কনের ভাই মৌলানা আবদুল মান্নান অভিযোগ করেন। তিনি বলেন উভয় পক্ষের সম্মতিতে আমরা ফার্নিচার নিয়ে গেলে তারা আমাদের অপমান করে এবং তা ফেরত পাঠিয়ে দেয়। আর বিয়ের দিন বর যাত্রী আসে ১’শ জন। ৫’শ জনের টাকা নিয়ে নেয় বর পক্ষ। বিয়েটি দিনের আয়োজন হওয়ায় শতাধিক বরযাত্রী আসে আর বর আসে রাত ১০ টায়। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বিয়ের অনুষ্ঠানে বাক বিতন্ডা হলে কনে পক্ষ মেয়ে তুলে দিতে অপারগতা প্রকাশ করে। পরে শোভনদন্ডীর পানি উন্নয়ন বোর্ড এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান শের আলী ও আনোয়ারার আওয়ামী লীগ নেতা শেখ আহমদসহ এক সমঝোতা বৈঠক করে কনে পক্ষকে বিয়ের ক্ষতি পূরণ বাবদ ২ লক্ষ টাকা দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তারা এর জামিনদার হিসেবে বরকে কনে পক্ষের কাছে রেখে যায়।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বর শফিকুল আলম সাহেদ বলেন, বিয়ে ঠিক করে গ্রামের উকিল। আমি কিছু জানিনা। মুরব্বিরা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমি তা মানতে বাধ্য। তবে আমি বউ নিতে চাই। শোভনদন্ডী ইউপি চেয়ারম্যান এহসানুল হক বলেন, যৌতুকের জন্য বিয়েটি ভেঙ্গে গেছে। আমি দুপুরে বিয়ে বাড়িতে গিয়েছিলাম। কিন্তু বর নাকি পছন্দের ফার্নিচার না পাওয়ায় আসেনি বলে কনে পক্ষ আমাকে জানিয়েছিল। পরে গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৫ টায় বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ও কাজীর মাধ্যমে কাবিননামা ভাঙিয়ে বরকে তার পরিবার নিয়ে যায় বলে স্থানীয় সূত্রে প্রকাশ।

সূত্র : দৈনিক আজাদী

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!