ব্রেকিং নিউজ
Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | দ্রুত চাকসু নির্বাচনের তাগিদ তথ্যমন্ত্রীর

দ্রুত চাকসু নির্বাচনের তাগিদ তথ্যমন্ত্রীর

P-12-7-1

নিউজ ডেক্স : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় রসায়ন বিভাগের ৫০ বছর পূর্তিতে দুই দিনব্যাপী ‘সুবর্ণ জয়নত্মী’ উৎসব ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ও বর্ণিল আয়োজনের মধ্য দিয়ে গতকাল শুরু হয়েছে। সকাল ১১টায় বিজ্ঞান অনুষদ প্রাঙ্গণে বেলুন ও শানিত্মর প্রতীক পায়রা উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্যমন্ত্রী ও রসায়ন বিভাগের প্রাক্তন শিড়্গার্থী ড. হাছান মাহমুদ এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার, পিকেএসএফ’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সাবেক মুখ্য সচিব মো. আবদুল করিম এবং চবি বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সফিউল আলম।

অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী বলেন, নেতৃত্ব বিকাশে ছাত্র সংসদের বিকল্প নেই। তাই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকসু নির্বাচন দ্রুত প্রয়োজন। তিনি বিলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন নির্বাচন হয়, তখন আমি ছাত্র ছিলাম না। এরপরও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান ছিলাম। এগুলো নেতৃত্ব বিকাশের ক্ষেত্রে অত্যনত্ম সহায়ক। তাই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শীঘ্রই চাকসু নির্বাচন হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

মন্ত্রী নিজের বর্তমান অবস্থানে আসার পেছনে স্কুল শিক্ষার ভূমিকা উলেস্নখ করে বলেন, ‘আমি আজকের অবস্থানে কখনো আসতে পারতাম না যদি, স্কুলের শিক্ষা না থাকতো। আমি চট্টগ্রাম মুসলিম হাই স্কুলের ছাত্র। সেখানে বক্তৃতা, বিতর্ক প্রতিযোগিতা হতো। এই বিশ্ববিদ্যালয়েও আমি যখন ছাত্র, তখন ন্যাশনাল টেলিভিশন ডিবেট হতো। এটি অত্যনত্ম জনপ্রিয়, সম্মানজনক একটি অনুষ্ঠান ছিল। আমি সোহরাওয়ার্দী হলের বিতর্ক দলের দলনেতা ছিলাম। আমি স্কুলের বিতর্ক দলের দলনেতা ছিলাম। স্কুল যদি আমাকে শিক্ষা না দিতো, তাহলে আমার পক্ষে আজকের অবস্থানে আসা সম্ভব হতো না।’

ডাকসু নির্বাচন প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন যারা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছিল, তারাও-তো ভিপিসহ অন্যান্য পদে জিতেছে। আমার প্রশ্ন, ডাকসুর নির্বাচন যদি সুষ্ঠু না হয়, তাহলে তারা জিতলো কীভাবে?’

গবেষণা ও প্রকাশনার মাধ্যমে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিকাশ ঘটে মনত্মব্য করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বর্তমানে ছাত্ররা কেউ কম্পিউটার সায়েন্স, কেউ ব্যবসা প্রশাসন, আর কেউ আইন বিষয়ে পড়তে চায়। বিজ্ঞানের ছাত্র হতে চায় কম। এ জন্য এখন গবেষণা কমে গেছে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের মান নির্ধারণ করে গবেষণার উপর উলেস্নখ করে তিনি বলেন, আমাদের সময়ে বাবারা ভালো ছাত্রদের রসায়ন, পদার্থ এগুলোই পড়াতেন। গবেষণার উপর বিশেষ করে রসায়ন বিভাগের আরো জোর দেয়া প্রয়োজন। গবেষণার জন্য আরো ফান্ড সরকারের কাছে চাওয়া প্রয়োজন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসংখ্যার উপর রেটিং হয় না। গবেষণার মাধ্যমে একটি বিশ্ববিদ্যালয় অনন্য উচ্চতায় যেতে পারে।

তিনি বলেন, ‘আমেরিকার কর্নেল ইউনিভার্সিটিতে এতো গবেষণা হয়, সেখান থেকে এ পর্যনত্ম ৩৪ জন নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। আমি মনে করি, রসায়ন পড়ার পর চাকরির অনেক সুযোগ রয়েছে।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আশি’র দশকে মালয়েশিয়ার ছাত্ররা আমাদের শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে পড়তে আসতো। এখন আমাদের ছেলেরা সেখানে পড়তে যায়। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে অনেক আগেই উন্নত দেশের কাতারে পৌঁছতো বাংলাদেশ। এরপরও আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তার নেতৃত্বে সব সূচকে পাকিসত্মান থেকে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ।’

দেশের উন্নয়নের কথা তুলে ধরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘১০ বছর আগে যে ছেলে বিদেশ গেছে, সে ছেলে দেশে এসে তার শহর ও গ্রাম চিনতে পারে না। কারণ সবকিছুতে উন্নয়ন হয়েছে, আগের চিত্র বদলে গেছে। এ পরিবর্তন শেখ হাসিনার কারণে হয়েছে। ’

চবিতে প্রাকৃতিক পরিবেশ বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) উন্নয়ন কাজ করতে গিয়ে যেন প্রাকৃতিক পরিবেশ নষ্ট না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আমেরিকান কর্নেল ইউনিভার্সিটির মিল রয়েছে। ওই ইউনিভার্সিটিও এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো বড়। এখানকার মতো সেখানেও পাহাড় ও প্রচুর গাছপালা আছে। দেশের অন্য কোনো ক্যাম্পাস প্রাকৃতিকভাবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো এতো সুন্দর নয়।’

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০ বছর পার হয়েছে। আরও শত শত বছর টিকে থাকবে। এই প্রাকৃতিক পরিবেশ নষ্ট করা যাবেনা। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটে সিদ্ধানত্ম নেয়া প্রয়োজন, যে কোনো উন্নয়নমূলক কর্মকা- করার ক্ষেত্রে যেনো প্রাকৃতিক পরিবেশ ঠিক রেখে করা হয়।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!