ব্রেকিং নিউজ
Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | চট্টগ্রাম-১৫ আসনে আ.লীগ-বিএনপি-জামায়াতে দ্বন্দ্ব, সম্ভাব্য প্রার্থীও একাধিক

চট্টগ্রাম-১৫ আসনে আ.লীগ-বিএনপি-জামায়াতে দ্বন্দ্ব, সম্ভাব্য প্রার্থীও একাধিক

3

নিউজ ডেক্স : চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে বিগত সংসদ নির্বাচনগুলোর ফল বলছে, এখানে বিএনপি ও জামায়াত ভোটের হিসেবে এগিয়ে আছে। দশম সংসদ নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট নির্বাচন বয়কট করায় ১৯৭৩ সালের পর আবার আসনটি ফিরে পায় আওয়ামী লীগ। বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (বিএনএফ) প্রার্থীকে হারিয়ে সংসদ সদস্য হন আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী।

তিনটি দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ আসনের দুটি উপজেলায় বর্তমানে ঘরের আগুনে পুড়ছে আওয়ামী লীগ। একইভাবে বিএনপি অনেকটা অভিভাবকহীন অবস্থায় রয়েছে। চার খণ্ডে বিভক্ত দলটির রাজনীতি। জোটের অন্যতম শরিক জামায়াতের সঙ্গেও রয়েছে দলটির দূরত্ব। অন্যদিকে জামায়াতের সাবেক দুই সংসদ সদস্য আ ন ম শামসুল ইসলাম ও শাহজাহান চৌধুরীর মধ্যেও রয়েছে দ্বন্দ্ব।

একাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে আটজন, বিএনপিতে চার ও জামায়াতের দুজন সম্ভাব্য প্রার্থী মনোনয়নের জন্য দৌড়ঝাঁপ করছেন।

সাতকানিয়ার ১১টি ইউনিয়ন, একটি পৌরসভা ও লোহাগাড়ার ৯টি ইউনিয়ন নিয়ে চট্টগ্রাম-১৫ আসনটি গঠিত। এ আসনে ১০টি সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দুইবার, বিএনপি তিনবার, জামায়াত তিনবার ও জাতীয় পার্টি দুইবার জয়লাভ করেছে।

আওয়ামী লীগ : আগামী সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে অন্তত আট নেতা মনোনয়ন চাইতে পারেন বলে জানা গেছে। তাঁরা হলেন বর্তমান সংসদ সদস্য ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, দলের সাতকানিয়া উপজেলা শাখার সভাপতি ব্যবসায়ী এম এ মোতালেব, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়াম লীগ নেতা আবু সুফিয়ান, জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি), দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এ কে এম সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মঈনউদ্দিন হাসান চৌধুরী, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. আ ম ম মিনহাজুর রহমান ও লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খোরশেদ আলম চৌধুরী।

তিন দশকের বেশি সময় পর আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভীর হাত ধরে আসনটি ফিরে পায় আওয়ামী লীগ। এর পরই প্রাণ সঞ্চার হয়েছিল দলের সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া উপজেলা শাখায়। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই দলের সংসদ সদস্যের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় দুই উপজেলার শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে দলের একটি অংশ সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। এর প্রভাব পড়ে তৃণমূল পর্যায়ে।

সংসদ সদস্য আবু রেজা নদভী বলেন, ‘মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে আমি শতভাগ আশাবাদী। সন্ত্রাসী জনপদ সাতকানিয়া-লোহাগাড়াকে আমি শান্তির জনপদে রূপান্তরিত করেছি।’ সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর সাতকানিয়া-লোহাগাড়ায় প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার উন্নয়নকাজ করেছেন বলে জানান তিনি। এ ছাড়া আল্লামা ফজলুল্লাহ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে মসজিদ, মাদরাসা নির্মাণ ছাড়াও কুয়েত ও কাতার পল্লী করে কয়েক শ পরিবারের আবাসনের ব্যবস্থা করেছেন তিনি।

দলীয় কোন্দলের কথা স্বীকার করে নদভী বলেন, ‘কোন্দলের জন্য আমি মোটেও দায়ী নই। আমি এমপি হওয়ার আগে উপজেলা কমিটিগুলো গঠিত হয়েছে। কেন্দ্রীয় নেতা আমিনুল ইসলাম এসব কমিটি গঠন করেছেন।’ দলের বেশির ভাগ লোক তাঁর পক্ষে আছে দাবি করেন সংসদ সদস্য বলেন, ‘দলে যাদের অবদান আছে তারা আমার পক্ষে। অন্যরা আমার বিরোধিতা করছে।’

লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খোরশেদ আলম চৌধুরী বলেন, ‘আবু রেজা নদভী এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে লোহাগাড়ায় দলের ভাবমূর্তি চরমভাবে নষ্ট হয়েছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘নেত্রীকে অনুরোধ করব নদভীকে যেন আর মনোনয়ন না দেন। তাঁকে মনোনয়ন দিলে আমরা কেউ তাঁর পক্ষে কাজ করব না। দল থেকে গণহারে পদত্যাগ করব।’

সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘আমরা চাইব দল ও তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক আছে এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে নির্ভেজালভাবে বুকে লালন করে এমন কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হোক।’

তবে সহসভাপতি ফরিদুল আলম বলেন, ‘দলের সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে বর্তমান সংসদ সদস্য আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী হলেন সবচেয়ে যোগ্য প্রার্থী।’

আমিনুল ইসলাম আমিন বলেন, মনোনয়নের বিষয়ে তিনি শতভাগ আশাবাদী। তিনি জন্মসূত্রেই আওয়ামী লীগ—এ কথা জানিয়ে আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘দলে গ্রুপিং আছে। এটা নির্বাচনের ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। কিন্তু আমার সঙ্গে কারো গ্রুপিং নেই। ফলে আমি মনোনয়ন পেলে গ্রুপিং কোনো প্রভাব ফেলবে না। দলীয় নেতাকর্মীসহ এলাকার মানুষের কাছে আমার গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। ফলে তৃণমূলের বৃহৎ অংশ চায় আমি নির্বাচন করি। আমি আশা করব মনোনয়ন বোর্ড এলাকায় আমার গ্রহণযোগ্যতা বিষয়ে মূল্যায়ন করবে।’

সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বনফুল গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এ মোতালেব (সিআইপি) বলেন, ‘মনোনয়নের বিষয়ে আমি আশাবাদী। কারণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই আমাকে কাজ করতে বলেছেন। ছাত্রলীগ দিয়ে রাজনীতি শুরু করেছি আর বিরতিহীনভাবে এখনো আছি। আওয়ামী লীগই আমার শেষ ঠিকানা।’

সাতকানিয়ার প্রতিটি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে তিনি নিজে উপস্থিত থেকে সম্মেলন করেছেন জানিয়ে মোতালেব বলেন, ‘নেতাকর্মীদের সুখে-দুঃখে পাশে দাঁড়িয়েছি। মসজিদ, মাদরাসায় অনুদান ছাড়াও সব ধরনের সামাজিক কাজে সক্রিয় অংশগ্রহণ করে আসছি। লোহাগাড়ায়ও দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে আমার অত্যন্ত সুসম্পর্ক রয়েছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘সাতকানিয়া-লোহাগাড়া ব্যবসায়ীদের এলাকা। চট্টগ্রামে সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার সব ব্যবসায়ীর সঙ্গে আমার ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। আমার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে দুই উপজেলার চার হাজারের বেশি কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছে।’ দলে গ্রুপিংয়ের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমার সঙ্গে সবার সম্পর্ক রয়েছে। এ ছাড়া নৌকার সঙ্গে কারো দ্বন্দ্ব নেই। আমি মনোনয়ন পেলে সবাইকে এক সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে পারব। নেত্রী আমাকে মনোনয়ন দিলে আমি বিজয়ী হতে পারব।’

সাংবাদিক আবু সুফিয়ান বলেন, ‘আমি গতবারও মনোনয়ন চেয়েছিলাম, এবারও চাইব। যোগ্য মনে করলে নেত্রী এবার আমাকে মনোনয়ন দিবেন। আমাকে মনোনয়ন দিলে জয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী।’ দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীর মাঝে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অবশ্য নেত্রী যদি অন্য কাউকে মনোনয়ন দেন সে ক্ষেত্রে আমি তাঁর পক্ষে নিবেদিতভাবে কাজ করব।’

স্বাচিপ নেতা ডা. আ ম ম মিনহাজুর রহমান বলেন, ‘আমি মনোনয়নের বিষয়ে আশাবাদী। গতবার সাতকানিয়া-লোহাগাড়ায় জামায়াত-শিবিরের নৈরাজ্য চলাকালে দলীয় প্রার্থীর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। পৌরসভা নির্বাচনেও প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করে দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করেছি। আশা করি দল আমার অতীতের কর্মকাণ্ড মূল্যায়ন করবে।’

বিএনপি : এ আসনে সর্বশেষ ১৯৯৬ সালে তৎকালীন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য কর্নেল (অব.) অলি আহমদ (বীরবিক্রম) নির্বাচিত হয়েছিলেন। তখন দক্ষিণ চট্টগ্রামে বিএনপির রাজনীতিতে ছিল তাঁর একচ্ছত্র আধিপত্য। কিন্তু ২০০৬ সালে তিনি বিএনপি ছেড়ে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) গঠন করেন। সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার অধিকাংশ নেতাকর্মী তখন এলডিপিতে যোগদান করে। ওই সময় থেকে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে এখানকার বিএনপি। পরে সাতকানিয়ায় শেখ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, মুজিবুর রহমান, আবদুল গফ্ফার চৌধুরী, লোহাগাড়ায় আসহাব উদ্দিন চৌধুরী ও নাজমুল মোস্তফা আমিনসহ কিছু জ্যেষ্ঠ নেতা বিএনপি পুনর্গঠনের চেষ্টা চালান।

নেতাকর্মীরা জানায়, অভিভাবকহীনতার কারণে বেড়েছে গ্রুপিং। উপজেলা থেকে ইউনিয়ন পর্যন্ত পাল্টাপাল্টি কমিটি গঠন সাতকানিয়া বিএনপির ‘বৈশিষ্ট্যে’ পরিণত হয়েছে।

একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে যাঁরা আলোচনায় আছেন তাঁরা হলেন দলের চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা শাখার জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও সাতকানিয়া উপজেলা শাখার সভাপতি শেখ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, দক্ষিণ জেলা শাখার স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক ও সাতকানিয়া শাখার সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, দক্ষিণ জেলা শাখার প্রচার সম্পাদক নাজমুল মোস্তফা আমিন ও যুগ্ম সম্পাদক আবদুল গফ্ফার চৌধুরী।

শেখ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, ‘দলীয় মনোনয়নের ব্যাপারে আমি আশাবাদী। স্কুলজীবন থেকে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হয়েছি। দলের দুঃসময়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সফলতার সঙ্গে পালন করেছি।’ অবশ্য তিনি বলছিলেন, জোটবদ্ধ নির্বাচনের স্বার্থে দল যদি আসনটি জামায়াতকে ছেড়ে দেয় তাহলে তিনি তাদের পক্ষে কাজ করবেন। তাঁর ভাষায়, ‘দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই।’

গ্রুপিংয়ের বিষয়ে মহিউদ্দিন বলেন, ‘বড় দলে গ্রুপিং থাকতেই পারে। এটা নেতৃত্বের প্রতিদ্বন্দ্বিতা।’

দলের মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী জানিয়ে মুজিবুর রহমান বলেন, ‘স্বয়ং নেত্রী বলেছেন আমাকে কাজ করার জন্য। ছাত্র অবস্থা থেকে বিরতিহীনভাবে রাজনীতি করে আসছি। সরকারবিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে একাধিকবার কারাবরণ করতে হয়েছে।’ অবশ্য তিনি চান না আসনটি আর জামায়াতকে ছেড়ে দেওয়া হোক। তিনি বলেন, ‘স্থানীয় রাজনীতিতে জামায়াত আমাদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখেনি। জামায়াতের মধ্যেও দ্বন্দ্ব রয়েছে। বিভিন্ন কারণে তাদের জনপ্রিয়তায় ধস নেমেছে।’

নাজমুল মোস্তফা আমিন বলেন, ‘আমার কর্মকাণ্ডে সন্তুষ্ট হয়ে নেত্রী নিজেই আমাকে কাজ করতে বলেছেন। মনোনয়নের আশ্বাস দিয়েছেন। তবে জোটবদ্ধ নির্বাচনের স্বার্থে আসনটি জামায়াতকে দেওয়া হলে আমি তাদের পক্ষে কাজ করব।’

জামায়াত : ১৯৯১ ও ২০০১ সালের নির্বাচনে জামায়াতের শাহজাহান চৌধুরী বিজয়ী হন। ২০০৮ সালে তিনি আর নির্বাচন করতে পারেননি। তৎকালীন চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের আমির আ ন ম শামসুল ইসলাম নির্বাচন করে জয়লাভ করেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক জামায়াত নেতা জানান, শাহজাহান চৌধুরী দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ায় শামসুল ইসলামকে দিয়ে নির্বাচন করানো হয়। তখনও শাহজাহান চৌধুরী মাঠে থেকে তাঁকে বিজয়ী করান। কিন্তু শামসুল ইসলাম এই আসনে নিজেকে স্থায়ী করার জন্য তাঁর সঙ্গে দূরত্ব সৃষ্টি করেন। একপর্যায়ে শাহজাহান চৌধুরীকে সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার দলীয় কর্মকাণ্ডে অলিখিতভাবে নিষিদ্ধ করা হয়। এরপর সাবেক এই দুই সংসদ সদস্যের মধ্যে বিরোধ প্রকাশ্যে রূপ নেয়।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, শামসুল ইসলামের পাশাপাশি শাহজাহান চৌধুরীও মনোনয়ন চাইবেন।

সম্প্রতি গ্রেপ্তার হওয়ার আগে জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য শাহজাহান চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আমার গড়া মাঠ। নেতাকর্মীরা চায় আমি ভোট করি। দলের কাছে মনোনয়ন চাইব। তবে দল মনোনয়ন না দিলে নির্বাচন করব না।’

জামায়াতের নায়েবে আমির শামসুল ইসলামের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁর সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

তবে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জামায়াতের আমির মো. জাফর সাদেক বলেন, নির্বাচনে গেলে চট্টগ্রাম-১৫ আসনে শামসুল ইসলাম এবং চট্টগ্রাম-১০ আসনে শাহজাহান চৌধুরীকে মনোনয়ন দেওয়ার বিষয়ে দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে। দুজনের মধ্যে কোনো ধরনের বিরোধ নেই বলেও দাবি করেন তিনি।

সূত্র : কালের কণ্ঠ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!