ব্রেকিং নিউজ
Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | চট্টগ্রাম বন্দরে হিমায়িত কনটেইনার নিয়ে হিমশিম অবস্থা

চট্টগ্রাম বন্দরে হিমায়িত কনটেইনার নিয়ে হিমশিম অবস্থা

নিউজ ডেক্স : বিদেশ থেকে আদা, রসুন, পেঁয়াজ, আপেল, আঙুর, মাল্টা, মাছ, ওষুধ, কেমিক্যাল, দামি কাপড়সহ পচনশীল কিংবা গরমে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা আছে এমন পণ্য ভর্তি হিমায়িত (রেফার) কনটেইনার নিয়ে হিমশিম অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দরে।

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে সরকারি টানা ছুটিসহ নানা কারণে আমদানিকারকরা এ ধরনের কনটেইনার ডেলিভারি কমিয়ে দেওয়ায় একধরনের অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম বন্দরে রেফার কনটেইনার রাখার জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহের প্লাগ পয়েন্ট ১ হাজার বাড়িয়ে ২ হাজার ৬০০ টিইইউ’স করলেও খুব বেশি সুফল মিলছে না। এখন ধারণক্ষমতার চেয়ে কয়েকশ’ রেফার কনটেইনার বেশি আছে বন্দরে। বাধ্য হয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ কিংবা দ্রুত পচনশীল নয় এমন পণ্যের রেফার কনটেইনারে ১২ ঘণ্টা রেশনিং করা হচ্ছে। এরপরও যতটি রেফার কনটেইনার বন্দর থেকে ডেলিভারি হচ্ছে ততটি জাহাজ থেকে নামানোর মতো জট তৈরি হয়েছে। এতে জাহাজের সেইলিং ও টার্ন অ্যারাউন্ড টাইম বাড়ছে।

কিছু রেফার কনটেইনার আছে মাসের পর মাস এমনকি বছরের পর বছর বন্দরে পড়ে আছে। এগুলোর পেছনে যে বিদ্যুৎ বিল খরচ হচ্ছে তা পরিশোধেও তৈরি হচ্ছে জটিলতা। নিলাম প্রক্রিয়ার ধীরগতি, পণ্য পচে যাওয়ার আশঙ্কায় নিলামে সাড়া কমে যাওয়ার কারণেও নানা সমস্যা তৈরি হচ্ছে। একদিকে আমদানি বাবদ মূল্যবান অর্থের অপচয় হচ্ছে, অন্যদিকে শিপিং এজেন্টের কনটেইনার আটকে থাকছে, বিদ্যুৎবিলের পাল্লা ভারী হচ্ছে। এ অবস্থায় শিপিং এজেন্টদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

বন্দরের পরিবহন (ট্রাফিক) বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, রেফার এলসিএল কনটেইনার ডেলিভারির ক্ষেত্রে আমদানিকারক বা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের ধীরগতির কারণে বন্দরের ধারণক্ষমতা ছাড়িয়ে গেছে। শনিবারের (১৬ মে) মধ্যে রেফার কনটেইনার খালাস বা ডেলিভারি না বাড়লে পরদিন রোববার (১৭ মে) থেকে রেফার কনটেইনারের ওপর ‘রেগুলেশন ফর ওয়ার্কিং চিটাগাং পোর্ট (কার্গো অ্যান্ড কনটেইনার) ২০০১ এর ১৬০ ধারার আলোকে স্বাভাবিক ভাড়ার চার গুণ স্টোররেন্ট আরোপে কর্তৃপক্ষ বাধ্য হবে।

বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক খায়রুল আলম সুজন বাংলানিউজকে বলেন, রেফার কনটেইনার লোড করার পর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হয়। সেটা জাহাজে হোক কিংবা বন্দরের ইয়ার্ডে হোক। তাই স্পর্শকাতর পণ্য, পচনশীল পণ্যের এসব কনটেইনার বন্দর থেকে যত দ্রুত ডেলিভারি হবে তত জাহাজের গড় অবস্থান সময় কমে আসবে।

বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আহসানুল হক চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরে রেফার কনটেইনার জটের কারণে জাহাজের গড় অবস্থানকাল বেড়ে যাওয়ায় দুইটি মেইনলাইন অপারেটর (এমএলও) এ ধরনের কনটেইনারের ওপর সারসার্জ আরোপ করেছে। এর অর্থ হচ্ছে নিরুৎসাহিত করা।

বন্দরের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, কিছু আমদানিকারক বন্দরকে গুদাম বানিয়ে ফেলতে চাইছেন। বাজারে পণ্যের দাম কমলে তারা রেফার কনটেইনার ডেলিভারি নেন না। আবার কনটেইনার জটের কথা বলে পণ্যের দাম বাড়িয়েও দেন অনেকে। তাই বন্দর কর্তৃপক্ষ কঠোর অবস্থান নিচ্ছে। বাংলানিউজ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!