ব্রেকিং নিউজ
Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | খুচরা বাজারে চিনির কেজি ১৪০-১৪৫ টাকা

খুচরা বাজারে চিনির কেজি ১৪০-১৪৫ টাকা

নিউজ ডেক্স : রাজধানীর খুচরা বাজারে খোলা চিনি ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মিলছে না প্যাকেট চিনি। সুপারশপে ১২৫ টাকায় বিক্রি হলেও ভ্যাটসহ তা খোলা বাজারের সমানই দাম পড়ছে।  

শুক্রবার (২৩ জুন) রাজধানীর সেগুনবাগিচা, ফার্মগেট, মিরপুর ১০ নম্বর, ১৩ নম্বর ও ১৪ নম্বর ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বাণিজ্য সচিব বরাবর দেওয়া চিঠিতে ২২ জুন থেকে চিনির দাম খুচরায় কেজিতে সর্বোচ্চ ২৫ টাকা করে বাড়ানো কথা বলা হয়। তবে বাজার ঘুরে জানা যায়, এর আগে থেকেই বাড়তি দামে চিনি বিক্রি চলছে।

তিন দিন আগেও বাজারভেদে প্রতি কেজি চিনির দাম ছিল ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা। নতুন দামের চিনি আসার আগেই দাম কেন বাড়ল এমন প্রশ্নের জবাবে কাজীপাড়ার খুচরা বিক্রেতা জাকির হোসেন বলেন, আমরা পাইকারি বিক্রেতাদের কাছ থেকেই বেশি দামে কিনি। তাই বেশি দামে বিক্রি করছি।

রাজধানীর মিরপুর-১৪ এর একটি বাজারের পাইকারি চিনি বিক্রেতা রশিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, এক সপ্তাহ আগে ৫০ কেজির এক বস্তা চিনি বিক্রি করতে পেরেছি ৬ হাজার ২০০ টাকায়। দাম বেড়েছে, এখন আর আগের দামে বিক্রি করতে পারছি না। আমরা বেশি দামে চিনি কিনেছি। এখন ৫০ কেজির প্রতি বস্তার চিনির দাম রাখতে হচ্ছে ৬ হাজার ৫৫০ টাকা। একই বাজারের আরেক দোকানে ৫০ কেজি ওজনের চিনির বস্তার দাম রাখা হচ্ছে ৬ হাজার ৫৮০ টাকা

চিনির দাম কেন বাড়ল, এমন প্রশ্নের জবাবে একেক দোকানির ব্যাখ্যা একেক রকম। কেউ বলেন, সরকার কেজিতে ২৫ টাকা করে বাড়িয়েছে। বেশি দামে চিনি কিনছি, এ জন্য আমরাও চিনির দাম বাড়িয়েছি।

আবার কোনো দোকানদার বলেন, সব ট্রাক কোরবানির গরু বহন করতে গেছে, চিনি আনা নেওয়া করার ট্রাক পাওয়া যাচ্ছে না। যে দুয়েকটি ট্রাক পাওয়া যাচ্ছে বেশি ভাড়া নিচ্ছে। এ কারণে চিনির দাম বেড়েছে।

তারা বলছেন, ঈদের আগে চিনির দাম বেড়েছে, ঈদের পর আবার দাম কমতে পারে।

এক সপ্তাহ আগে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি খোলা চিনির বেঁধে দেওয়া দাম ছিল ১২০ টাকা এবং প্যাকেট চিনি ‍১২৫ টাকা। কিন্তু বাজারে চিনি বিক্রি হয়েছে ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা দরে।

১৯ জুন সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বাণিজ্য সচিব বরাবর চিঠি দিয়ে জানানো হয়, ২২ জুন থেকে চিনির দাম খুচরায় কেজিতে সর্বোচ্চ ২৫ টাকা করে বাড়ানো হবে। ঘোষণার পর বাড়তি দামের চিনি আসার আগেই বাজারে দাম বেড়ে যায়।

চিনির বাড়তি এই দাম কমানোর দাবি জানিয়েছে কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ক্যাব)। ভোক্তা অধিকার বিষয়ক সংগঠন ক্যাব বলছে, চিনিকল মালিকেরা ইচ্ছা করলেই নিজেরা এভাবে চিনির দাম বাড়াতে পারেন না। এই দাম প্রত্যাহার করতে হবে।

বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা বলে ক্যাব। ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীর পণ্যের মূল্য নির্ধারণে ১৩ দফা দাবি তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, সরকার শুধু পাইকারি বাজারে চিনির দাম বেঁধে দেয়। খুচরা বাজারেও চিনির দাম বেঁধে দিতে হবে। যাতে বাজারে বিক্রেতারা পণ্যের বাড়তি দাম নিতে না পারেন।

তিনি আরও বলেন, বাজার পর্যবেক্ষণ জোরদার করতে হবে। বাজার পর্যবেক্ষণ করার দাবি উঠলে বাজারে কয়েকদিন প্রশাসনের লোকজন যাওয়ার পর আর খোঁজ থাকে না। ফলে যা হওয়ার তাই হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!