ব্রেকিং নিউজ
Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | কে এই ইয়াবার গডফাদার সাইফুল করিম

কে এই ইয়াবার গডফাদার সাইফুল করিম

saiul

নিউজ ডেক্স : কক্সবাজারের টেকনাফের ইয়াবা ব্যবসার অন্যতম গডফাদার সাইফুল করিম (৪৫) পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন।

দীর্ঘদিন বিদেশে আত্মগোপনে থেকে সম্প্রতি দেশে ফেরার পর বৃহস্পতিবার রাতে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের তালিকাভুক্ত এ ইয়াবা ব্যবসায়ী।

পুলিশ জানিয়েছে, নিহত সাইফুলের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম ও টেকনাফ থানায় মাদকসহ সাতটি মামলা রয়েছে। তার বাড়ি টেকনাফ পৌরসভার শীলবুনিয়াপাড়ায়।

জানা গেছে, বিবিএ পাস করে সাইফুল ২০০০ সালের পর চট্টগ্রাম শহর থেকে এসে টেকনাফ স্থলবন্দরকেন্দ্রিক সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসা শুরু করেন। তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম ছিল এসকে ইন্টারন্যাশনাল।

তার পরিবার সেই সময় চট্টগ্রামে বসবাস করলেও পরে তারা টেকনাফে পুরনো বাড়িতে ফিরে আসেন। বিয়ে করেন টেকনাফের প্রভাবশালী পরিবারের মেয়ে বিএনপি নেতা আবদুল্লাহর বোনকে।

সাইফুল অল্পদিনেই ব্যবসায় সফলতা অর্জন করেন। একাধিকবার তিনি সেরা করদাতার (সিআইপি) খেতাবও অর্জন করেন।

কিন্তু পরবর্তী সময় ইয়াবার ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত তিনি। ইয়াবা ব্যবসার আড়ালে রাতারাতি ধনাঢ্য ব্যক্তি হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন সাইফুল করিম।

১৯৯৭ সালে এ দেশে প্রথম ইয়াবার চালান ঢোকে। সেই চালানটি সাইফুল করিম এনেছিলেন বলে পুলিশ সূত্র জানিয়েছে।

গত বছরের ৪ এপ্রিল চট্টগ্রাম নগরের হালিশহর এলাকায় এক টি চালানে ১৩ লাখ ইয়াবা বড়ি আটক হওয়ার পর সাইফুলের নাম জানাজানি হয়। এর পরপরই তিনি গা ঢাকা দেন।

এর পর গত ১৬ ফেব্রুয়ারি টেকনাফ পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের কাছে সাড়ে ৩ লাখ ইয়াবা, ৩০টি আগ্নেয়াস্ত্রসহ ১০২ জন শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী আত্মসমর্পণ করলেও সাইফুল তখন বিদেশে আত্মগোপন করেন। দীর্ঘ ৯ মাস আত্মগোপনের পর কয়েক দিন আগে সাইফুল করিম বিদেশ থেকে টেকনাফ আসেন।

সম্প্রতি কক্সবাজারের স্থানীয় একজন সাংবাদিক সাইফুলের সঙ্গে তার ভিডিওকলের একটি রেকর্ড ফেইসবুক টাইমলাইনে আপলোড করে তাতে লিখেন- ইয়াবা কিং সাইফুল নিজের অপকর্মের কথা স্বীকার করে আত্মসমর্পণ করতে চায়, তাকে কী করা উচিত। এরপর থেকে সাইফুলের আত্মসমর্পণের খবর ছড়িয়ে পড়ে। সাইফুলের আত্মসমর্পণের খবর খবর গণমাধমেও প্রকাশ হয়।

তার পরিবারের দাবি, টেকনাফের এক প্রভাবশালী ব্যক্তি আত্মসমর্পণের সুযোগের কথা দিয়ে কয়েক দিন আগে সাইফুল করিমকে মিয়ানমার থেকে টেকনাফে নিয়ে আসেন।

বাংলাদেশে আসার পর পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। বৃহস্পতিবার রাতে বৃহস্পতিবার দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে টেকনাফ স্থলবন্দরের সীমানাপ্রাচীরের শেষ প্রান্তে নাফ নদীর তীরে বন্দুকযুদ্ধে নিহত সাইফুল।

প্রসঙ্গত গত বছর মে মাসে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সর্বশেষ তালিকায় ৭৩ শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ীর মধ্যে সাইফুল করিমের নাম ছিল ২ নম্বরে। ১ নম্বরে রয়েছে টেকনাফের বিতর্কিত সাবেক সাংসদ আবদুর রহমান বদির নাম।

আর গত মাসে পুলিশ অভিযান চালিয়ে সাইফুলের দুই ভাইকে অস্ত্র ও ইয়াবাসহ আটক করে কারাগারে প্রেরণ করেন। এ ছাড়া তার পাঁচ ভাইয়ের নাম মাদকের তালিকায় রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!