Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | কক্সবাজারে ধর্ষণের ঘটনায় হোটেল ব্যবস্থাপক রিমান্ডে

কক্সবাজারে ধর্ষণের ঘটনায় হোটেল ব্যবস্থাপক রিমান্ডে

নিউজ ডেক্স : কক্সবাজারে স্বামী-সন্তান জিম্মি করে নারী পর্যটককে ধর্ষণের মামলায় গ্রেফতার জিয়া গেস্ট ইন হোটেলের ব্যবস্থাপক রিয়াজুদ্দিন ছোটনকে চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হামীমুন তানজীন এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ট্যুরিস্ট পুলিশের পরিদর্শক রুহুল আমিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের এসপি জিল্লুর রহমান বলেন, নারী পর্যটককে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার হোটেল ব্যবস্থাপক রিয়াজুদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন আছে। মামলাটির তদন্ত গুরুত্ব সহকারে নেওয়া হচ্ছে। ধর্ষণের ঘটনায় শনাক্ত মূল আসামি আশিক, বাবু ও জয়সহ আরও যারা জড়িত তাদের গ্রেফতারে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

পুলিশ সুপার আরও বলেন, ধর্ষণ মামলাটি হওয়ার পর তদন্তের জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ট্যুরিস্ট পুলিশ ভিকটিম নারীর মেডিকেল রিপোর্টসহ নানা প্রয়োজনীয় কাজ এরই মধ্যে শেষ করেছে। আসামিদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।

পুলিশ সুপার বলেন, মামলাটি তদন্ত করতে গিয়ে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পুলিশের হাতে এসেছে। আমরা চাই মামলাটি তদন্ত সাপেক্ষে আসল ঘটনা উদ্ঘাটিত হোক এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত হোক। এর আগে ভিকটিম নারী পর্যটকের জবানবন্দি গ্রহণ করেন আদালত। শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম হামীমুন তানজীনের আদালতে হাজির করে জবানবন্দি নেওয়া হয়।

২২ ডিসেম্বর রাতে ধর্ষণের শিকার হন স্বামী-সন্তান নিয়ে কক্সবাজারে আসা নারী পর্যটক। ভিকটিম নারীর ভাষ্য, ‘স্বামী-সন্তান নিয়ে ওইদিন সকালে ঢাকা থেকে কক্সবাজারে পৌঁছান। ওঠেন শহরের হলিডে সি-ল্যান্ডের ২০১ নং কক্ষে। ওই দিন বিকেলে স্বামী-সন্তানকে নিয়ে লাবণী বিচে যান। রাতে হোটেলে ফেরার পথে এক যুবকের সঙ্গে তার স্বামীর ধাক্কা লাগে। এতে স্বামীর সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে ওই যুবক। বাধা দিলে তার সঙ্গেও তর্কে জড়ায় যুবকটি। ওই সময় আরও দুই যুবক ঘটনাস্থলে এসে হাজির হয়। তারা স্বামী-সন্তানকে ইজিবাইকে তুলে দিয়ে ওই নারীকে আলাদা করে। পরে ওই এলাকার একটি ঝুপড়ি ঘরে নিয়ে তিনজনে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এরপর স্বামী-সন্তানকে হত্যার ভয় দেখিয়ে শহরের জিয়া গেস্ট ইন নামের একটি হোটেলে নিয়ে যায়।’

এ ঘটনায় ধর্ষিতা নারীর স্বামী বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় আশিক-বাবু-জয়, রিয়াজুদ্দিনের নাম উল্লেখ করে আরও দু-তিনজনকে অজ্ঞাত আসামি দেখানো হয়েছে। -জাগো নিউজ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!