ব্রেকিং নিউজ
Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদাকে বিদেশে নিতে চান স্বজনরা

উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদাকে বিদেশে নিতে চান স্বজনরা

1-2332

নিউজ ডেক্স : উন্নত চিকিৎসার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিতে চাইছেন তার স্বজনরা। শুক্রবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেন তারা। হাসপাতাল থেকে বের হয়ে খালেদা জিয়ার মেজ বোন বেগম সেলিমা ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

বেগম সেলিমা ইসলাম বলেন, বেগম খালেদা জিয়া জামিন পেলে তাকে আমরা উন্নত চিকিৎসার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে বিদেশে নিতে চাই। এখানে তার চিকিৎসা হচ্ছে না।

বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে খালেদা জিয়ার স্বজনরা বিএসএমএমইউ হাসপাতালে তার সঙ্গে দেখা করতে যান। প্রায় ঘণ্টাখানেক তারা খালেদা জিয়ার পাশে থাকেন।

স্বজনদের মধ্যে ছিলেন- বেগম খালেদা জিয়ার মেঝ বোন বেগম সেলিমা ইসলাম, খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানের স্ত্রী জোবায়দা রহমানের বড় বোন শামীম আরা বিন্দু, খালেদা জিয়ার ভাইয়ের স্ত্রী কানিজ ফাতেমা, খালেদা জিয়ার ভাইয়ের ছেলে অভিক ইস্কান্দারসহ ছয়জন।

উল্লেখ্য, দুদকের করা দুই মামলায় ১০ ও ৭ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত খালেদা জিয়া বর্তমানে বিএসএমএমইউয়ে চিকিৎসাধীন। কিন্তু স্বজনদের মতো বিএনপির নেতৃবৃন্দও খালেদা জিয়ার এই চিকিৎসায় সন্তুষ্ট নন।

শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে শোচনীয়। তার উন্নতমানের সুচিকিৎসার অধিকারটুকু কেড়ে নেয়া হয়েছে। গত ১৪ দিনে কোনো চিকিৎসক তার কাছে যাননি। বিএসএমএমইউএর ভিসি সাহেব গত সপ্তাহে রিমাটোলজিস্টদের দিয়ে যে মেডিকেল বোর্ড গঠন করেছেন, অদ্যাবধি সেই মেডিকেল বোর্ড বেগম জিয়া কিংবা তার কোনো স্বজনকে চিকিৎসার কোনো রিপোর্ট দেননি।’

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। এরপর ওই বছরের ৩০ অক্টোবর এই মামলায় খালেদার সাজা ৫ বছর বাড়িয়ে ১০ বছর করেন হাইকোর্ট। অপরদিকে এর আগের দিন জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!