Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | আলোচিত সিনহা হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু কাল

আলোচিত সিনহা হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু কাল

নিউজ ডেক্স : কক্সবাজারের টেকনাফের শামলাপুর মেরিন ড্রাইভ সড়কে চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হবে আগামীকাল সোমবার (১৩ আগস্ট)।

সোম, মঙ্গল ও বুধ (২৩-২৫ আগস্ট) একটানা তিন দিন কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল-এর আদালতে ১৫ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের কথা রয়েছে। এর আগে গত ২৬, ২৭ ও ২৮ জুলাই তিনদিন সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য্য করা হলেও লকডাউনের কারণে তা আটকে যায়।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ( পিপি) এড. ফরিদুল আলম বলেন, “সরকারের বিধিনিষেধের কারণে হাইকোর্টের নির্দেশে সারাদেশের মতো কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় পূর্বনির্ধারিত ধার্য দিনে মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু করা যায়নি।”

তাই আগামীকাল সোমবার (২৩ আগস্ট) আলোচিত এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হচ্ছে। চলবে টানা তিন দিন।

পিপি ফরিদুল আলম বলেন, “এই মামলায় চার্জশিটভুক্ত মোট ৮৩ জন স্বাক্ষী আছেন। তাদের মধ্য থেকে ১৫ জনকে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য আদালতে হাজির হতে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে যারা হাজির হবেন তাদের সাক্ষ্য রেকর্ড করা হবে। নির্ধারিত সময়ে সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ করা না গেলে পরবর্তীতে আবার স্বাক্ষীর জন্য সময় দেবে আদালত।”

২৭ জুন কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল বাদী-বিবাদী উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে শুনানি শেষে মামলাটির চার্জ গঠন করে এবং ২৬, ২৭ ও ২৮ জুলাই টানা তিনদিন সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য্য করেন।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ৯টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর পুলিশের চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।

হত্যাকাণ্ডের চারদিন পর ৫ আগস্ট সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে টেকনাফ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশসহ নয় জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন কক্সবাজার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের আদালতে।

মামলায় প্রধান আসামি করা হয় বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (বর্তমানে বরখাস্ত) পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে। ওসি (বরখাস্ত) প্রদীপ কুমার দাশকে করা হয় দুই নম্বর আসামি। মামলার তিন নম্বর আসামি করা হয় বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে কর্মরত উপ-পরিদর্শক (বর্তমানে বরখাস্ত) নন্দ দুলাল রক্ষিতকে আদালত মামলাটির তদন্তভার দেওয়া হয় কক্সবাজার র‍্যাব-১৫কে। গত বছরের ৭ আগস্ট মামলার আসামি সাত পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।

পরে তদন্তে হত্যার ঘটনায় স্থানীয় তিন গ্রামবাসী, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) তিন সদস্য ও ওসি প্রদীপের দেহরক্ষীসহ আরও সাত জনকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। চলতি বছরের ২৪ জুন মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি কনস্টেবল সাগর দেব আদালতে আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে আলোচিত এই মামলার ১৫ আসামির সবাই আইনের আওতায় আসে। বর্তমানে চার্জসিট ভুক্ত সকল অভিযুক্ত কারাগারে রয়েছেন।

এ হত্যা মামলার চার মাসের বেশি সময় তদন্ত শেষে গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর ৮৩ জন স্বাক্ষীসহ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কক্সবাজার র‍্যাব-১৫-এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম। ১৫ জনকে আসামি করে দায়ের করা অভিযোগপত্রে সিনহা হত্যাকাণ্ডকে একটি ‘পরিকল্পিত ঘটনাথ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। আজাদী অনলাইন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!