ব্রেকিং নিউজ
Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | আমার বক্তব্য মিডিয়ায় ভুলভাবে উপস্থাপিত হয়েছে : আল্লামা শফী

আমার বক্তব্য মিডিয়ায় ভুলভাবে উপস্থাপিত হয়েছে : আল্লামা শফী

sufi

নিউজ ডেক্স : নারীশিক্ষা নিয়ে ফতোয়া। ফের বিতর্কে বাংলাদেশের আল-হাইয়াতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল সংগঠনের চেয়ারম্যান আমির শাহ আহমদ শফি। শনিবার সকালে চট্টগ্রামের চশমা হিলে সাংবাদিক সম্মেলনে তাঁর মন্তব্য, মেয়েদের পঞ্চম শ্রেণির বেশি পড়ানো উচিত নয়। প্রকাশিত অডিওতে শোনা গিয়েছে তাঁর ফতোয়া – ‘আপনাদের মেয়েদের ইশকুল, কলেজে যেতে দিবেন না। বেশি হলে ক্লাস ফোর, ফাইভ পর্যন্ত পড়াইতে পারবেন।  যাতে বিবাহ দিলে স্বামীর টাকাপয়সার হিসেব রাখতে পারে। স্বামীর কাছে চিঠি লিখতে পারে। আর বেশি যদি পড়ান, ক্লাস নাইন, টেন, বিএ, এমএ – এত পড়াশোনা করালে কিছুদিন পরে আপনার মেয়ে আর আপনার থাকবে না। অন্য কেউ নিয়ে যাবে।’ এনিয়ে চট্টগ্রামের হাটহাজারির এক মাদ্রাসায় তিনি সকলকে অঙ্গীকারবদ্ধ করেন বলেও অভিযোগ।

বাংলাদেশের কওমি মাদ্রাসার ছ’টি বোর্ডের সমন্বিত সংস্থা আল-হাইয়াতুল উলয়া লিল জামিয়াতিলের চেয়ারম্যান শফি আগেও বহুবার মহিলাদের নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের জেরে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন। মেয়েদের তেঁতুলের সঙ্গে তুলনা করায় দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। নারীবাদী সংগঠনগুলি থেকে তাঁর এই বক্তব্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো হয়। বিতর্ক চাপা দিতে পালটা আসরে নামেন আহমেদ শফি। নারীদের তেঁতুল বলেননি, এই দাবিতে তাঁর ব্যাখ্যা, ‘আমার আগের, পরের সব কথা বাদ দিয়ে শুধু বলা হচ্ছে, মহিলাদের আমি কোনও সুযোগ দেব না বলেছি। এটা একেবারে মিথ্যা কথা। আমি মহিলাদের রানির সঙ্গে তুলনা দিয়েছি। আমি মহিলাদের ফুলের সঙ্গে তুলনা দিয়েছি।’

আমির শাহ আহমদ শফির এমন ফতোয়ার তীব্র নিন্দা করেছে বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রক। শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরি নওফেল জানিয়েছেন, ‘এটা সম্পূর্ণই তাঁর ব্যক্তিগত মন্তব্য। রাষ্ট্রের নীতির সঙ্গে যা অসামঞ্জস্যপূর্ণ ও বৈষম্যমূলক।এই মতামত গ্রহণের সুযোগ নেই।’ নওফেল আরও বলেন, ‘শফি বাংলাদেশের শিক্ষানীতি প্রণয়ন বা শিক্ষা ব্যবস্থাপনা পরিচালনা বা শিক্ষাখাতের কোনও নির্বাহী দায়িত্বে নেই।  যে কোনও নাগরিকের বাক স্বাধীনতা আছে, তাই নাগরিক হিসেবে তিনিও মনের ভাব প্রকাশ করেছেন।’ সূত্রের খবর, চট্টগ্রামের মাদ্রাসা থেকে নারীশিক্ষা নিয়ে ফতোয়া জারির পাশাপাশি শফি পুরুষদের সুন্নত অনুযায়ী দাড়ি রাখা, নমাজ পড়া নিয়েও উপস্থিত সবাইকে তিনি অঙ্গীকারবদ্ধ করান। বাংলাদেশে নতুন সরকার কাজ শুরু করার পরপরই এমন মন্তব্যে ফের বিতর্কের কেন্দ্রে আহমেদ শফি। কারণ, শেখ হাসিনার বেশ কয়েকটি নির্বাচনী প্রচারে একই মঞ্চে দেখা গিয়েছে শফিকে। তাহলে কি এধরনের কট্টরবাদকে আড়ালে সমর্থন করছে বাংলাদেশের উদারপন্থী সরকার? এই প্রশ্ন তুলে রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। তারই মধ্যে শফির এই মন্তব্যে অস্বস্তিতে হাসিনা সরকার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!