নিউজ ডেক্স : সরকারের মেগা প্রকল্পগুলোর মধ্যে দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ নির্মাণ কার্যক্রম অন্যতম। বর্ষার কারণেই নির্মাণকাজ আটকে আছে।বর্ষা শেষ হলেই পুরোদমে এগিয়ে যাবে এ প্রকল্পের কাজ। এ মেগা প্রকল্পটি ২০১০ সালের ৬ জুলাই একনেকে অনুমোদিত হয়। প্রথমে ১ হাজার ৮৫২ কোটি টাকা খরচ ধরা হলেও পরে কয়েক দফা বাড়িয়ে ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা করা হয়েছে।
২০২২ সালের জুনের মধ্যে এ প্রকল্প বাস্তবায়নরের কথা থাকলেও ২ বছর বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ৬৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি রয়েছে ৩৫ ভাগ কাজ। দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে কাজ। বাকি কাজ শেষ হলেই ট্রেন যাবে পর্যটন নগর কক্সবাজারে।
জানা গেছে, দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইনে মোট ৯টি দৃষ্টিনন্দন রেলস্টেশন নির্মাণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে ডুলহাজারা রেলস্টেশনের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। দোহাজারী, লোহাগাড়া, হারবাং, চকরিয়া, ঈদগাঁও এবং কক্সবাজারে রেল স্টেশন নির্মাণের কাজ চলছে। তবে, সাতকানয়িা ও রামুতে রেলস্টেশন নির্মাণের কাজ এখনো শুরু হয়নি। বর্ষার কারণেই সেখানে কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। একমাসের মধ্যে সেখানেও কাজ শুরু হবে।
কক্সবাজার সদরের পানিরছড়া এলাকায় ৭ কিলোমিটার রেলপথ এখন দৃশ্যমান। ওই এলাকায় রেল ট্র্যাক নির্মাণের পাশাপাশি সিগন্যালিং কেবল (তার) টানার কাজ শেষ পর্যায়ে।
জায়গা ভেদে ১৫ ফুট থেকে ৫ ফুট পর্যন্ত মাটি ভরাট করতে হচ্ছে এ প্রকল্পে। কোথাও ১৫, কোথাও ১২, কোথাও ১০, কোথাও ৫ ফুট মাটি ভরাট করতে হচ্ছে। সাতকানিয়ায় এখনো মাটি ভরাট কাজ শুরু হয়নি। সব মিলিয়ে ভরাটের কাজ শেষ হয়েছে প্রায় ৮০ শতাংশ।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০২২ সালের ডিসেম্বেরের মধ্যে কক্সবাজারে ট্রেনে যাওয়া যাবে। সে লক্ষ্যেই আমরা কাজ করছি। এই রেলপথ চালু হলে কক্সবাজারে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আগমন বাড়বে। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি হবে। পাল্টে যাবে চট্টগ্রাম-কক্সবাজারের রূপ।
প্রকল্প এলাকায় মোট ১৫ কিলোমিটার বন থাকায় সেখানে কাজের অগ্রগতি কম। বিদ্যুৎ বিভাগের কিছু স্থাপনা-খুঁটি এ রেলপথের আওতায় পড়ায় সেখানে কাজে বিঘ্ন ঘটছে। এসব সরিয়ে নিতে বিদ্যুৎ বিভাগকে বলা হয়েছে। কিন্তু এখনো পুরোপুরি সরানো হয়নি। তবে বর্ষা শেষ হলেই পুরোদমে কাজ শুরু হবে। দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাবে প্রকল্পের কাজ।
প্রকল্প পরিচালক মফিজুর রহমান বলনে, করোনা আর বর্ষার কারণে দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ নির্মাণকাজে বিঘ্ন ঘটেছে। আমরা কাজ করছি। মন্ত্রী মহোদয় ২০২২ সালের ডিসেম্বরে কক্সবাজারে যাতে ট্রেন যেতে পারে সে লক্ষ্যে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন। এরই মধ্যে তিনি প্রকল্পও পরির্দশন করেছেন। আমরা তার নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি। তিনি বলেন, বর্ষার কারণে যে সব জায়গায় কাজ বন্ধ রয়েছে আগামী এক মাসের মধ্যে সেখানেও পুরোদমে কাজ শুরু হবে৷ বাংলানিউজ