Home | ব্রেকিং নিউজ | লোহাগাড়া চক্ষু হাসপাতালের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু

লোহাগাড়া চক্ষু হাসপাতালের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু

এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়া ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতালের নতুন সংযোজন “লোহাগাড়া চক্ষু হাসপাতাল”র অনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (১ মার্চ) রাতে পবিত্র খতমে কোরআন ও দোয়া মাহফিলের মাধ্যমে এ যাত্রা শুরু করা হয়।

দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন চুনতি হাকিমিয়া কামিল মাদরাসার উপাধ্যক্ষ মুহাদ্দিস শাহ আলম। পরে দেশ ও জাতির কল্যাণ এবং হাসপাতালের সাফল্য কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

লোহাগাড়া চক্ষু হাসপাতালের সেবা সমূহ : দক্ষিণ চট্টগ্রামে সর্বপ্রথম ভিন্নধর্মী আধুনিক যন্ত্রপাতি দ্বারা স্বয়ংসম্পূর্ণ চক্ষু হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা। অত্যাধুনিক মেশিনের মাধ্যমে চোখ পরীক্ষা করে যথাযথ পাওয়ারী চশমা প্রদান। উন্নত কেবিনের সু-ব্যবস্থা। সরকারি বন্ধের দিন সহ চক্ষু ও জরুরি বিভাগ ২৪ ঘন্টা খোলা। হাসপাতালের অভ্যন্তরে সুলভ মূল্যে ঔষুধ ও ডাক্তারের পরামর্শ মতে চশমার ব্যবস্থা। চক্ষু চিকিৎসা বা অপারেশনে অত্যাধুনিক মেশিন এবং সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার। চোখের সব ধরণের প্যাথলজিক্যাল টেস্ট। বিভিন্ন কালারের কন্টাক্ট লেন্স পাওয়া যায়।

লোহাগাড়া চক্ষু হাসপাতাল ও ডায়াবেটিক হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সমাজকর্মী আরমান বাবু রোমেল জানান, এলাকার চোখের সমস্যায় জর্জরিত রোগীদের কথা বিবেচনা করে একটি নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ডায়াবেটিস রোগীর অন্যতম জটিলতা হচ্ছে চোখেন জটিলতা। এই রোগে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে বিভিন্ন অংশের ক্ষতি হতে পারে। যেমন চোখের স্বচ্ছ আয়না (কর্ণিয়া) ক্ষতি হতে পারে, চোখে গ্লুকোমা হতে পারে, চোখের পর্দায় (রেটিনা)র ক্ষতি হতে পারে। ডায়াবেটিস অন্ধত্বের একটি প্রধান কারণ। আপনার চোখের দৃষ্টি ভাল থাকলেও চোখে ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি চোখের পর্দায় রক্তক্ষরণ হতে পারে। তাই প্রাথমিক অবস্থায় রোগ নির্ণয়ে অতিসত্ত্বর সুষ্ঠু চিকিৎসার মাধ্যমে অন্ধত্ব নিবারণ করা যায় এবং ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি রোগীর দৃষ্টি শক্তি ভালো থাকে। তাই আপনাদের চোখ ভালো রাখার লক্ষ্যে এবং দূরদূরান্তে গিয়ে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে কষ্ট লাঘবের জন্য “লোহাগাড়া চক্ষু হাসপাতাল” নামে স্বয়ংসম্পূর্ণ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেছি।

উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন যাবত লোহাগাড়া ডায়াবেটিক হাসপাতালের অধীনে “দৃষ্টি সেবা” নামে স্বল্প পরিসরে চক্ষু সেবা দিয়ে আসছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!