নিউজ ডেক্স : পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস ২৪ ঘণ্টায় ১৪৭ দশমিক ৭ মিমি বৃষ্টি রেকর্ড করেছে। এর সঙ্গে ছিল জোয়ার ও পাহাড়ি ঢল। নগরের নিম্নাঞ্চলের সড়কগুলোর ওপর উঠে গেছে কোমর-পানি। বাসাবাড়ির নিচতলা, পার্কিং, দোকানপাটে পানি ঢুকেছে। দুর্ভোগের শেষ নেই অফিসফেরত ঘরমুখো মানুষ, পথচারীদের।
সরেজমিন দেখা গেছে, রোববার (১৯ জুন) বিকেল থেকে নগরের কাতালগঞ্জ, পাঁচলাইশ, চান্দগাঁও, বাকলিয়া, চকবাজার, প্রবর্তক মোড়, দুই নম্বর গেট, বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, আগ্রাবাদসহ নিম্নাঞ্চলের বেশিরভাগ সড়কে ছিল হাঁটুপানি থেকে কোমরপানি। সড়কের মাঝখানে ইঞ্জিন বিকল হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল অনেক গাড়ি। রিকশা ও রিকশাভ্যানে বেশি ভাড়ায় গন্তব্যে যেতে হয় যাত্রীদের। খানাখন্দ আর নালায় পড়ে যাওয়ার আতঙ্ক নিয়ে পথ পাড়ি দেন পথচারীরা।
ভুক্তভোগীরা বলছেন, সরকার জলাবদ্ধতা নিরসনে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ করলেও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সমন্বয়হীনতার কারণে জলাবদ্ধতার অভিশাপ থেকে এখনো মুক্ত হতে পারছে না বাণিজ্যিক রাজধানী। খালের মুখে বাঁধ, নালা ও খাল থেকে বর্জ্য অপসারণ না করার অভিযোগও তাদের।
যথারীতি আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালের পুরোনো ভবনের নিচতলায় ছিল হাঁটুপানি। এতে দুর্ভোগ পোহান রোগী, স্বজন ও চিকিৎসক-সেবিকারা।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম জানান, রোববার (১৯ জুন) বিকেল ৬টা পর্যন্ত পতেঙ্গায় আগের ২৪ ঘণ্টায় ১৪৭ দশমিক ৭ মিমি বৃষ্টি রেকর্ড হয়েছে। মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় বজ্রসহ প্রবল বর্ষণ আজও অব্যাহত থাকবে। -বাংলানিউজ