Home | দেশ-বিদেশের সংবাদ | সুইস ব্যাংকে কমেছে বাংলাদেশিদের আমানত

সুইস ব্যাংকে কমেছে বাংলাদেশিদের আমানত

image-86747

নিউজ ডেক্স : টানা ছয় বছর বাড়ার পর সুইস ব্যাংকে কমেছে বাংলাদেশিদের আমানত। এরপরও সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ হিসেব অনুযায়ী দেশটির ব্যাংকগুলোতে এখন বাংলাদেশিদের জমা রাখা অর্থের পরিমাণ ৪ হাজার ৬৯ কোটি টাকা।

বৃহস্পতিবার সুইস কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বার্ষিক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। এতে দেখা যায়, ২০১৬ সালের তুলনায় গত বছর সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের আমানত কমেছে দেড় হাজার কোটি টাকা।

বিশ্বের নানা দেশের ধনীদের অর্থ গোপনে গচ্ছিত রাখার জন্য বহুযুগের খ্যাতি রয়েছে সুইজারল্যান্ডের। দেশটির ব্যাংকিং খাত গ্রাহকের নাম ও পরিচয় গোপন রাখতে কঠোর নীতি মেনে চলে। যে কারণে অবৈধ আয় ও কর ফাঁকি দিয়ে জমানো টাকা রাখা হয় সুইস ব্যাংকে।

তবে এতদিনগ্রাহকের সুনির্দিষ্ট তথ্য না দিলেও গত কয়েক বছর ধরে দেশভিত্তিক আমানতের পরিমাণ প্রকাশ করে আসছে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বৃহস্পতিবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০১৭ এর ডিসেম্বরে সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলিতে বাংলাদেশিদের আমানত ছিল ৪৮ কোটি ১৩ লাখ সুইস ফ্রাঁ, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪ হাজার ৬৯ কোটি টাকা। এর আগের বছর অর্থাৎ ২০১৭ সালে এ অঙ্ক ছিল ৬৬ কোটি ১৯ লাখ ফ্রাঁ বা সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের আমানত কমেছে দেড় হাজার কোটি টাকা।

সুইস কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঘোষণা অনুযায়ী, কোনও বাংলাদেশি নাগরিকত্ব গোপন করে অর্থ জমা রাখলে ওই টাকা এ হিসাবে অন্তর্ভূক্ত হবে না। গচ্ছিত রাখা স্বর্ণ বা মূল্যবান সামগ্রীর আর্থিক মূল্যমানও হিসাব করা হয়নি তাদের প্রতিবেদনে।

এ পর্যন্ত যে হিসাব পাওয়া যায়, তাতে ২০১৬ সাল পর্যন্ত টানা ছয় বছর বাংলাদেশিদের আমানত হু হু করে বেড়েছে সুইস ব্যাংকে। ২০০২ সালে মাত্র ৩ কোটি ১০ লাখ ফ্রাঁ আমানত ছিল, যা গত দেড় দশকে ২২ গুণ বেড়েছে।

কেবল বাংলাদেশ নয় সামগ্রিকভাবেও ২০১৭ সালে আমানত কমেছে সুইস ব্যাংকগুলোতে। দেশটিতে ব্যাংকের সংখ্যাও কমেছে।

আর্থিক প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট বিশ্লেষকরা বলছেন, সুইজারল্যান্ডে গোপনীয়তা কমতে থাকায় অনেক ধনী অবৈধ টাকা জমা রাখার জন্য এখন ঝুঁকছেন লুক্সেমবার্গ, কেম্যান আইল্যান্ড, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ড, পানামা কিংবা বারমুডার মতো দেশে। এ দেশগুলি ট্যাক্স হ্যাভেন বলে পরিচিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

error: Content is protected !!