নিউজ ডেক্স : সাতকানিয়া থানা পুলিশের ঢেমশা তদন্ত কেন্দ্রে ইয়াবাসহ আটকের পর মামলা না করে আসামি ছেড়ে দিয়েছিলেন ৩ পুলিশ সদস্য। ঘটনার পর ঢেমশা তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম বাদি হয়ে তিন পুলিশ কনস্টেবলসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
সোমবার (৯ আগস্ট) বিকেলে চট্টগ্রাম সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জিহান সানজিদার আদালতে পুলিশের ৩ সদস্যসহ ৬ জনকে হাজির করেন। আদালত শুনানি শেষে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বাংলানিউজ
কারাগারে পাঠানো হয়েছে- শাহ মোহাম্মদ হাসান (২৭), আরাফাত নাজিম উদ্দীন (২৬) ও বিমল চাকমা (৪৬), আরাফাত (১৪), বেলাল (২৮) ও নেজাম উদ্দিনকে (২৭)। এর মধ্যে শাহ মোহাম্মদ হাসান, আরাফাত নাজিম উদ্দীন ও বিমল চাকমা সাতকানিয়া থানার ঢেমশা তদন্ত কেন্দ্রের কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত।
সূত্রে জানায়, গত ৬ আগস্ট কয়েকজন মাদক বিক্রেতা টাকা ও্র ইয়াবাসহ আটক করে তদন্ত কেন্দ্রের তিন কনস্টেবল আরাফাত নাজিম উদ্দীন, শাহ মোহাম্মদ হাসান ও বিমল চাকমা । কিন্তু টাকা ও ইয়াবাগুলো জমা না দিয়ে তারা নিজের কাছে রাখেন। মাদক বিক্রেতাদের থেকে টাকা ও ইয়াবাগুলো নিয়ে আটকের পর তাকে ছেড়ে দেন তারা। বিষয়টি আরেক পুলিশ সদস্যের অভিযোগের মাধ্যমে অবগত হন সাতকানিয়া সার্কেলের এএসপি জাকারিয়া রহমান জিকু ও সাতকানিয়া থানার ওসি আনোয়ার হোসেন। পরে তাদের নির্দেশে ঘটনাটির তদন্ত করেন ঢেমশা তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই জাহাঙ্গীর আলম। প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পান তিনি। অভিযুক্ত ৩ কনস্টেবল মাদকের টাকা আত্মসাৎ ও মাদক বিক্রেতাকে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন। ঢেমশা তদন্ত কেন্দ্রের ব্যারেক থেকে ৪৬৫ পিস ইয়াবা, এক জোড়া হ্যান্ডকাপ, নগদ ৯০ হাজার টাকা, দুইটি খালি চেক ও দুইটি মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়।
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, গত ৬ আগস্ট ঢেমশা তদন্ত কেন্দ্রের তিন পুলিশ সদস্য টাকা-ইয়াবা রেখে আসামিকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা পেয়েছি। এ ঘটনায় এসআই জাহাঙ্গীর আলম ৩ পুলিশ সদস্যসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। ৩ পুলিশ সদস্যসহ মোট ৬ জনকে সোমবার আদালতে পাঠানো হয়। আদালত শুনানি শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।