নিউজ ডেক্স: বৈষ্যমবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক দফা দাবিতে সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছাড়তে চাননি।
ভারতের বেসরকারি টেলিভিশন এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ দাবি করেন শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। পরিবার জোরাজুরি কারণেই শেখ হাসিনা দেশ ছেড়েছেন বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, সকাল তার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি খুব হতাশ ছিলেন। কেননা, বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রে উন্নীত করা তার স্বপ্ন ছিল। গত ১৫ বছরে এজন্য অনেক পরিশ্রম করেছেন। বিরোধী শক্তি ও জঙ্গী গোষ্ঠী ক্ষমতা দখল করেছে। ভারতে কতদিন থাকতে চান বা কোন দেশে যাবেন এ নিয়ে জানতে চাইলে জয় বলেন, এ নিয়ে তার সঙ্গে আমার কথা হয়নি।
প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন, পার্লামেন্ট ও শেখ মুজিবের ভাস্কর্য ভাঙচুর হয়েছে। এ নিয়ে পরিবারের মতামত চাইলে তিনি বলেন, এতে আমরা হতাশ ও ক্ষুব্ধ। আমার নানা দেশ স্বাধীন করেছে ও তারা তাকেসহ আমার পুরো পরিবারকে হত্যা করেছে। তারাই আবার একই কাজ করছে। জয় আরও বলেন, যে সহিংসতা শুরু হয়েছে তা এখনই থামবে বলে মনে করছি না। এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত।
পদত্যাগ করে তিনি তো দেশেই থাকতে পারতেন, দেশত্যাগে তিনি বাধ্য হলেন কেন? এ প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনার ছেলে বলেন, তিনি দেশ ছাড়তে চাননি। আমরা পরিবারের পক্ষ থেকে জোরাজুরি করেছি যে পরিস্থিতি তার জন্য নিরাপদ নয়। তার শারীরিক নিরাপত্তা আগে৷ এজন্য তাকে দেশ ছাড়তে বলেছি।
জয় আরও বলেন, আমরা আশাকরি যে নির্বাচন হবে৷ কিন্তু এই মুহূর্তে আমাদের নেতাকর্মীরা টার্গেটে। আমি জানি না কি করে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব। আমাদের পরিবারের আর কোনো দায়বদ্ধতা নেই। আমরা দেখিয়েছি আমরা কতটা উন্নয়ন করতে পারি৷ এখন মানুষ যেমন তার নেতা তেমনই হবে।
এখনো বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল আওয়ামী লীগ। অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আবার জিতবে। কিন্তু বর্তমানে তারা আমাদের দলীয় কার্যালয় ধ্বংস করছে। এই পরিস্থিতিতে দুর্ভাগ্যবশত বিএনপি-জামায়াতে ক্ষমতায় আসতে পারে। আমরা অতীতে তাদের দেখেছি দেশকে কীভাবে তলানিতে নিয়ে গিয়েছিল। অর্থনীতিকে তলানিতে নিয়ে গিয়েছিল। দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্থ সরকার ছিল ও জঙ্গী গোষ্ঠী অবাধে সংখ্যালঘুদের নিপীড়ন চালিয়েছিল, বলেন জয়।