নিউজ ডেক্স : চট্টগ্রাম-১৫ আসনে স্মরণকালের ভয়াবহতম নির্যাতন চলছে বলে অভিযোগ কবরেছেন ধানের শীষের প্রার্থী আ ন ম শামসুল ইসলামের চীফ এজেন্ট অধ্যাপক জাফর সাদেক। সংবাদপত্রে প্রদত্ত বিবৃতিতে তিনি বলেন, গতকাল মঙ্গলবার লোহাগাড়ার আধুনগরে গণসংযোগ করায় পুলিশ ধানের শীষের কর্মী এডভোকেট সাইফুল্লাহ ইসলামাবাদীকে গ্রেফতার করে। একই ইউনিয়নের লোহারদিঘীর পাড় এলাকা থেকে পুলিশের নেতৃত্বে ধানের শীষের কর্মীসহ মাইকিংয়ের গাড়ী থানায় নিয়ে যায় এবং রাকিব নামের উক্ত কর্মীকে গ্রেফতার করে। লোহাগাড়ার উজিরভিটা উচ্চ বিদ্যালয়ের খোকন মাষ্টারের নেতৃত্বে দুপুরে আবু তাহের, মোরশেদ, আলমগীর ও আবুল কাশেম সহ ১৪/১৫ জন মোটরসাইকেল ও সিএনজিতে করে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সকালে করা ধানের শীষের অফিস ভাংচুর করে এবং অফিসের জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়। অন্যদিকে, গতকাল সাতকানিয়ার সোনাকানিয়া থেকে হাজী আবদুল গফুর ও হাজী আবদুল মন্নানকে পুলিশ বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতার করে। চরতি ইউনিয়নের সুইপুরা থেকে সাবেক ইউপি সদস্য আবু সৈয়দ মেম্বার ও তালেব আলীকে বাড়ি থেকে বেআইনীভাবে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। ছদাহার সিন্দুপ্যা পাড়ার ধানের শীষের গণসংযোগ করাকালে চেয়ারম্যান মোসাদের নেতৃত্বে ৪০/৫০ জন সন্ত্রাসী দেশী অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ধানের শীষের কর্মীদের ধাওয়া করে। এতে একপর্যায়ে সংঘর্ষের জড়িয়ে পড়লে পুলিশ ধানের শীষের কর্মীদের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করতে অভিযান চালায়। নলুয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ধানের শীষের এক উঠান বৈঠকে পুলিশ গিয়ে ধাওয়া করে প্রকাশ্যে গ্রেফতারের হুমকি দেয়। মধ্যম দুরদুরী এলাকা থেকে হাজী আবদুর রহিমকে সম্পূর্ণ পুলিশ গ্রেফতার করে।
তিনি বলেন, এভাবে নৌকার প্রার্থীর নির্দেশে ধানের শীষের কর্মীদের অব্যাহতভাবে গ্রেফতার করা বাংলাদেশের ইতিহাসে আর কোন সময় হয়নি। কার নেতৃত্বে চলে এসব পুলিশ প্রশাসন? পুলিশ প্রশাসনের এহেন আচরণে সাতকানিয়া-লোহাগাড়াসহ সারাদেশের জনগণ বিস্মিত। অথচ নৌকা প্রার্থীর কর্মীরা ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করার পরও পুলিশ কর্তৃক তাদের গ্রেফতারের কোন তৎপরতা নেই। হামলাকারীদের গ্রেফতার না করে বরং নির্যাতিতদের গ্রেফতার দেখানোর মাধ্যমে দলকানা পুলিশ দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করে ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে চায়। আমি পুলিশ কর্তৃক সন্ত্রাসীদের প্রশ্রয় দেয়া এবং ন্যাক্কারজনক গ্রেফতার অব্যাহত রাখায় তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। গ্রেফতারকৃত সকল কর্মী সমর্থককে নিঃশর্ত মুক্তি দিয়ে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহবান জানাচ্ছি। আর প্রচারণায় বাধা প্রদানকারী পুলিশদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের জন্য সেনাবাহিনী সহ উর্ধ্বতন মহলের কাছে জোর দাবী জানাচ্ছি।