এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়ার চুনতিতে কাভার্ডভ্যানে তল্লাশী করে ১ লাখ ৬০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় অস্ত্র-গুলিসহ চালক ও হেলপারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে ইয়াবা পাচারকাজে ব্যবহৃত কাভার্ডভ্যান।
বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে ইউনিয়নের জাঙ্গালিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হল ময়মনসিংহের তারাকান্দা থানার গালাগাও এলাকার মো. নুরু উদ্দিনের পুত্র মো. ফরিদ মিয়া (২৫) ও চট্টগ্রামের জোয়ারগঞ্জ থানার সোনাপাহাড় এলাকার মৃত মো. সামশুল হকের পুত্র মো. নুর হোসেন সবুজ (২৭)।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানার ওসি ও এসআই মাহফুজুর রহমানের নেতৃত্বে চট্টগ্রামমুখি একটি কার্ভাডভ্যানে তল্লাশি করা হয়। এ সময় কার্ভাডভ্যানে চালকের আসনের পেছনে মূল বডির প্রান্তভাগে চিকন খালি অংশে কাঠ দিয়ে তৈরি লম্বা বক্সে বিশেষ কায়দায় রাখা ১৬টি পোটলার মধ্যে ১ লাখ ৬০ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট পাওয়া। যার আনুমানিক মূল্য ৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা। পরে কাভার্ডভ্যান চালক ফরিদ মিয়ার দেহ তল্লাশী করে প্যান্টের নিচে ডান কোমরে রাখা একটি দেশীয় তৈরি অস্ত্র ও হেলপার নুর হোসেন সবুজের দেহ তল্লাশী করে টাউজারের বাম পকেটে একটি প্লাস্টিকের ছোট বক্সে রাখা ৪০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা সংঘবদ্ধ মাদক চোরকারবারী চক্রের সক্রিয় সদস্য। কাভার্ডভ্যানে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করার ব্যানার টাঙ্গিয়ে আড়ালে দেশের বিভিন্নস্থানে ইয়াবা সরবরাহ করে আসছে। কক্সবাজার লিংক রোড এলাকা থেকে পাচারের উদ্দেশ্যে তারা ইয়াবাগুলোর ঢাকা মহানগরে নিয়ে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে কেউ মাদক ছিনিয়ে নিতে চাইলে বা বহনকালে বাঁধা দিলে প্রতিপক্ষকে আক্রমণ করার জন্য অস্ত্র ও গুলি তাদের হেফাজতে রেখেছে বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানায়।
লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আতিকুর রহমান জানান, শুক্রবার গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ও অস্ত্র আইনে পৃথক মামলা রুজু করা হয়। একইদিন তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।