এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়া উপজেলার বড়হাতিয়া ইউনিয়নের হরিদাঘোনা এলাকায় অদৃশ্যশক্তির (জ্বীন) দেয়া আগুনে পুড়ছে ৩ পরিবারের বসতঘর। গত ১ মার্চ থেকে এ ঘটনা ঘটে আসছে।
ক্ষতিগ্রস্তরা বসতঘরের মালিকরা হলেন আবদুল করিম, তার দু’পুত্র নুরুল আলম ও আবদুল আলিম। আগুনে পুড়ে গেছে ৩ বসতঘরের আসবাবপত্র, কাপড়- চোপড় ও বৈদ্যুতিক পাখাসহ অন্যান্য মালামাল। শুরু থেকে এ পর্যন্ত প্রায় দেড় লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্তরা দাবী করছেন। আগুন জ্বলে উঠার ভয়ে দিন-রাত পাহারা দিতে হচ্ছে তাদের।
গৃহকর্তা আবদুল করিম জানান, ঘটনার প্রথমদিন (১ মার্চ) সন্ধ্যায় বসতভিটার ঘরের নিকট স্থাপিত খড়ের গাদায় আকষ্মিকভাবে আগুন জ্বলে উঠে। এতে টিনের ঘরের অংশ বিশেষ পুড়ে গেছে। শোরচিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর থেকে দিনে একাধিকবার আগুন জ্বলে উঠে ঘরের ভিতর-বাইরে। কোন সময় দেয়ালে, কোন সময় বাঁশের তৈরি ভেড়া ও টিনে। আগুন জ্বলে উঠলে লোকজন তড়িগড়ি করে পানি দ্বারা অথবা কিছু চাপা দিয়ে আগুন নেভাতে হয়। তাও সাবধানে।
গৃহকর্তা আবদুল করিম আরও জানান, আজ ৯ মার্চ শনিবার সকালে পুত্রবধু রুমি আক্তারের পরনের শাড়িতে হঠাৎ আগুন জ্বলে উঠে। তাৎক্ষণিকভাবে কাপড় চোড়ে ফেলে দিয়ে নিজেকে আত্মরক্ষা করে।
নুরুল আলমের কন্যা ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী জয়তুন আক্তার জানান, তার পরনের কাপড়েও আকষ্মিকভাবে আগুন জ্বলে উঠেছে। আগুনে পুড়ে তার পায়ে ফোসকাও পড়েছে বলে জানান।
স্থানীয় গ্রাম পুলিশ জামাল হোসেন জানান, কোন সময় কার বসতঘরে আকষ্মিকভাবে আগুন জ্বলে উঠছে তার জন্য সাবধান থাকতে হচ্ছে। দিন-রাত পাহারা দিতে হচ্ছে। অদৃশ্যশক্তির এ আগুন বন্ধ করার কোন উপায় খুঁজে পাচ্ছে না কেউ। এ ব্যাপারে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। জ্বীনের অলৌকিক কান্ডসহ নানা বিষয়ে প্রশ্ন সৃষ্টি হচ্ছে জনমনে। এ নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা।