এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়ার উপজেলার চরম্বা ইউনিয়নসহ অন্যান্য ইউনিয়নের একাধিক গ্রামে গত ৩০ মে ঘূর্ণিঝড় মোরা’র আঘাতের পর থেকে আজ ৪ জুন বিকেলে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়নি বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। এতে স্থানীয় জনসাধারণকে চরম ভোগান্তি শিকার হতে হচ্ছে। অনেক এলাকায় দ্রুত কাজ করে দেয়ার কথা বলে টাকা আদায় করছে কতিপয় দালালরা। তবে লোহাগাড়া পল্লী বিদ্যুৎ অফিস কর্তৃপক্ষ তা অস্বীকার করেছে।
চরম্বা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড়ের পর থেকে চরম্বা ইউনিয়নের কোথাও বিদ্যুৎ নেই। ফলে চরম্বা ইউনিয়নের পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহকরা দূর্ভোগে পড়েছে।
বড়হাতিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ জুনাইদ জানিয়েছেন, এলাকার ভবানীপুর, পচার পাড়া, লাঠিফকির পাড়া, মেওলা পাড়া, ডাঃ আজিজ পাড়া, মোহছেন হাট, হরিদাঘোনা, ঘোনার মোড়, চাকফিরানী, আবদুল আলিম সিকদার পাড়া ও লস্কর পাড়াসহ বিভিন্নস্থানে ঘূর্ণিঝড়ের পর থেকে এখনো বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়নি।
আধুনগর ইউনিয়নের হাতিয়ার পুল, নূর মোহাম্মদ সিকদার পাড়া ও দক্ষিণ আধুনগর হিন্দুপাড়াসহ বিভিন্ন পাড়ায় ও চুনতি ইউনিয়নের সাতগড়সহ বেশ কয়েকটি পাড়ায় এখনো বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়নি।
আমিরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রফিক আহমদ চৌধুরী জানিয়েছেন, সুখছড়ি কালী বাড়ি থেকে এ গ্রামের কামারদিঘী পাড় পর্যন্ত এখনো বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়নি।
পুটিবিলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাজী মোঃ ইউনুছ জানিয়েছেন, পুটিবিলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ হলেও ব্যাপক লোডশেডিং এর কারণে মানুষ অতিষ্ট। কলাউজান ও পদুয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি বলে বিভিন্ন সূত্রে প্রকাশ।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি চট্টগ্রাম- ১ লোহাগাড়া জোনাল অফিসের ডিজিএম মোঃ বেলায়েত হোসেন জানান, ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে শতাধিক বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙ্গে বিদ্যুৎ সংযোগ লাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এসব মেরামতের কাজ চলছে।
তিনি আরো জানান, লোহাগাড়া উপজেলার ৫৫ হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহকের মধ্যে পর্যায়ক্রমে ৪০ হাজার মিটারে সংযোগ দেয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করার জন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দ্রুত কাজ করছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে লোহাগাড়ায় প্রতিটি মিটারে বিদ্যুৎ পৌঁছে যাবে।