এলনিউজ২৪ডটকম : লোহাগাড়ার পুটিবিলায় অবৈধভাবে গর্ভপাত করে মাটি চাপা দেয়া ৫ মাসের ব্রুণ আদালতের নির্দেশে উত্তোলন করা হয়েছে। সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে ইউনিয়নের সিকদার পাড়া থেকে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তথা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শাহজাহানের উপস্থিতিতে এ ব্রুণের টুকরো উত্তোলন করা হয়।
জানা যায়, গৌড়স্থান চৌধুরী পাড়ার মোসলেম উদ্দিনের পুত্র সিএনজি অটোরিক্সা চালক জাহাঙ্গীর আলমের (২৫) সাথে পার্শ্ববর্তী সিকদার পাড়ার ৮ম শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এতে তারা শারিরীক সম্পর্কে জড়ায়। ফলে ভিকটিম গর্ভবতী গর্ভবতী হয়ে পড়ে। গত ১৯ জানুয়ারি জাহাঙ্গীর আলম গর্ভপাত করানোর জন্য ভিকটিমকে জোরপূর্বক নিয়ে যায় উপজেলা সদরের দরবেশহাট রোডস্থ বিউটি মঞ্জিলে শিরিন আক্তার বিউটির কাছে। অবৈধভাবে গর্ভপাতের পর ভিকটিমকে সেখানে রেখে জাহাঙ্গীর আলম পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে ভিকটিম পরিবারের সাথে যোগাযোগ করলে তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যায়। এছাড়া গর্ভপাতের ভ্রুণ ভিকটিমের বাড়ির পাশে জমিতে মাটি চাপা দেয়। এ ঘটনায় ২০ জানুয়ারি ভিকটিমের ভাই বাদী হয়ে ২ জনকে এজাহারনামীয় আসামী করে থানায় মামলা রুজু করেন। পরদিন ঘটনার সাথে জড়িত জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেপ্তার পূর্বক আদালতে সোপর্দ করে থানা পুলিশ। ২২ জানুয়ারি মামলা তদন্তের স্বার্থে মাটিচাপা দেয়া ভ্রুণ উত্তোলনের জন্য আদালতের কাছে আবেদন করেন মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা। ২৪ জানুয়ারি আবেদন মঞ্জুর পূর্বক ভ্রুণ উত্তোলনের আদেশ দেন চট্টগ্রাম চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক কামরুন নাহার রুমি।

মামলার অপর আসামী অবৈধভাবে ভ্রুণের গর্ভপাত ঘটনোর কাজে জড়িত শিরিন আক্তার বিউটি। তার বিরুদ্ধে ইতোপূর্বেও এ ধরণের অবৈধ কাজের একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তিনি চিকিৎসক না হয়েও ডেলিভারীসহ সকল প্রকার প্রসূতি সেবা দিয়ে আসছেন। এ ব্যাপারে জানতে মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করেও সাড়া পাওয়া যায়নি।
মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা লোহাগাড়া থানার এসআই সত্যজিৎ ভৌমিক জানান, আদালতের নির্দেশে মাটি চাপা দেয়া ভ্রুণ উত্তোলন করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার ব্যাপারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। রিপোর্ট পাবার পর পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।