নিউজ ডেক্স : বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে শত শত লোকের উপস্থিতিতে স্ত্রীর সামনে শাহ নেয়াজ রিফাত শরীফকে (২৫) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ১২ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
বুধবার রাতে নিহত রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনের বিরুদ্ধে এ হত্যা মামলা করেছেন। এরই মধ্যে অভিযান চালিয়ে বুধবার রাতে চন্দন নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। চন্দন এ মামলার ৪ নম্বর আসামি।
তবে চন্দনকে কখন কোথায় থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তদন্তের স্বার্থে সে বিষয়ে কোনো তথ্য জানাতে রাজি হয়নি পুলিশ। পাশাপাশি গ্রেফতারের স্বার্থে মামলার অপর আসামিদের নাম বলতে রাজি হয়নি পুলিশ।
বরগুনার পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন বলেন, নেয়াজ রিফাত শরীফকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় চন্দন নামের এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আমরা আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছি।
এর আগে বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে শত শত লোকের উপস্থিতিতে স্ত্রীর সামনে শাহ নেয়াজ রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত রিফাত শরীফের বাড়ি বরগুনা সদর উপজেলার ৬নং বুড়িরচর ইউনিয়নের বড় লবণগোলা গ্রামে। তার বাবার নাম আ. হালিম দুলাল শরীফ। মা-বাবার একমাত্র সন্তান ছিলেন রিফাত।
ওই দিন সকাল ১০টার দিকে নয়নের নেতৃত্বে ৪-৫ জন সন্ত্রাসী রিফাতকে দা দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় ফেলে যায়। এ সময় বারবার সন্ত্রাসীদের হাত থেকে স্বামীকে বাঁচাতে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি।
একপর্যায়ে গুরুতর অবস্থায় রিফাতকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল ৪টার দিকে রিফাত মারা যান। বর্তমানে রিফাতের মরদেহ বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।
নিহত রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বলেন, নয়ন প্রতিনিয়ত আমার পুত্রবধূকে উত্ত্যক্ত করত এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপত্তিকর পোস্ট দিত। এর প্রতিবাদ করায় আমার ছেলেকে নয়ন তার দলবল নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে। আমার একমাত্র ছেলেকে যারা দিনে-দুপুরে কুপিয়ে হত্যা করেছে, তাদের বিচার চাই। এ ঘটনায় ১২ জনকে আসামি করে আমি মামলা করেছি। পুলিশ যেন তাদের সবাইকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনে।