নিউজ ডেক্স : তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জহুর আহমদ চৌধুরী শুধু চট্টগ্রামের গৌরবই নন তিনি উপমহাদেশের শ্রমিক আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ। বঙ্গবন্ধুর আস্থাভাজন ও ঘনিষ্ঠ সহচর হিসেবে তিনি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের পাতায় চির অক্ষয় হয়ে থাকবেন। তিনি কখনো ভোগ ও বিলাসের জন্য রাজনীতি করেননি। মানবকল্যাণই ছিল তার একমাত্র ব্রত।
শুক্রবার বিকেলে ইন্টারন্যাশনাল কনভেশন হলে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত জহুর আহমদ চৌধুরীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকীর স্মরণসভায় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
এসময় মন্ত্রী আরও বলেন, আওয়ামী লীগের জন্ম হয়েছে বাঙালির আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার তথা বাঙালি জাতির স্বাধীন জাতিসত্তা গঠনের ব্রত নিয়ে। সেই ব্রত পালনে জহুর আহমদ চৌধুরী বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর হিসেবে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন। ইতিহাস জানান দেয়, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণাটি প্রথম চট্টগ্রামের জহুর আহমদ চৌধুরীর কাছে পাঠিয়েছেন। এতে প্রতীয়মান হয় যে, বঙ্গবন্ধু ও জহুর আহমদ চৌধুরী একাত্মা ও অবিচ্ছিন্ন।
স্মরণসভায় সভাপতির বক্তব্যে জহুর আহমদ চৌধুরীর সন্তান ও মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, জহুর আহমদ চৌধুরীর সন্তান হিসেবে পিতার স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করাটা আমার জন্য মহান প্রাপ্তি। পিতার সাধারণ জীবনযাপন এবং রাজনৈতিক সততা আমি খুব কাছ থেকে প্রত্যক্ষ করেছি।অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বক্তব্য দেন।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত স্মরণসভায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব নঈম উদ্দিন চৌধুরী, যুগ্ম আহ্বায়ক সম্পাদক বদিউল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, আইন সম্পাদক অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী প্রমুখ।