_____জেসমিন সুলতানা চৌধুরী_____
আগুন ঝরা রুদ্র সন্ন্যাসী রূপে বৈশাখ হয় আবির্ভূত,
সূর্যের অগ্নিক্ষরা রৌদ্রে চারিদিকে হয় উত্তপ্ত।
গ্রীষ্মের তাপদাহে পুড়ে নগর, পুড়ে গাছপালা,
পুড়ে প্রাণীকুল, পুড়ে শষ্যক্ষেত।
বসন্ত যে অনাবিল সৌন্দর্য
টকটকে লাল-
সবুজাভ আভা দিয়ে সাজিয়ে দিয়েছিল প্রকৃতি,
বৈশাখের তপ্ত রোদ, প্রচন্ড খরতাপে পুড়ে
রুক্ষ, শুষ্ক, চৌচির সে প্রকৃতি ।
স্নিগ্ধ শীতল ছোঁয়া খোঁজে ফেরে তৃষিত নয়নে,
বিশাল জলরাশি ভরা নদী হাঁটু জল নিয়ে তাকিয়ে থাকে অসীম নীলিমায় শূন্যে আকাশ-পানে।
সবুজ ঘাস, লতাপাতা গুল্ম শ্যামলতা হারিয়ে শীর্ণ, বিবর্ণ, ধূলিমলিন রূপ আনে।
ক্লান্ত, পরিশ্রান্ত পথিক ঘেমে নেয়ে ওঠে হারিয়ে হুশ,
পিপাসায় কাতর ভারী বোঝা কাঁধে মেহনতি মানুষ।
মন চায় গাছের ছায়ায় এলিয়ে দেহ
শীতল বায়ু সেবনে হোক সবল দেহ।
কিন্তু দম ফেলার হয় না ফুরসত,
বেলা গড়িয়ে পড়ার আগেই পৌঁছাতে হয় গন্তব্যের পথ।
জীর্ণ, শীর্ণ, ক্ষীণকায় দেহে রিক্সাচালক
এক ফোঁটা পানির জন্য হয় অস্থির,
ঘর্মাক্ত কৃষকের বুক ফেঁটে হয় চৌচির,
গাছপালা স্থির,নিরব, নিথর
একপশলা বৃষ্টির জন্যে
প্রাণীকুল করে হাহাকার ।
এ দুঃসহ তাপদাহেও কাঁচা আমের কষে করে মাখামাখি ,
পুকুরে ঝাঁপাঝাঁপি-লাফালাফি করে আনন্দে মেতে থাকে শুধু শিশু কিশোর।